ফের জঙ্গলমহলে শিকড় গাড়ার লক্ষ্যে মাওবাদীরা, ২৪ ঘণ্টার অন্তর্তদন্ত
এরাজ্যের জঙ্গলমহলে কি নতুন করে মাওবাদী অনুপ্রবেশ ঘটছে?কিছু কিছু ঘটনা তেমন সঙ্কেত দিচ্ছে বলে মনে করছেন গোয়েন্দাদেরই একাংশ। আমরাও নেমেছিলাম অন্তর্তদন্তে। কী পেলাম?
ব্যুরো: এরাজ্যের জঙ্গলমহলে কি নতুন করে মাওবাদী অনুপ্রবেশ ঘটছে?কিছু কিছু ঘটনা তেমন সঙ্কেত দিচ্ছে বলে মনে করছেন গোয়েন্দাদেরই একাংশ। আমরাও নেমেছিলাম অন্তর্তদন্তে। কী পেলাম?
মাও সঙ্কেত। আজ প্রথম কিস্তি, নজর পশ্চিম মেদিনীপুরে।
কিষেণজির মৃত্যু যেন ইতি টেনে দিয়েছিল একটি অধ্যায়ে। এত বড় ধাক্কা সামলাতে পারেনি মাওবাদীরা। ফিকে হতে হতে, জঙ্গলমহলে মিলিয়ে যেতে শুরু করেছিল মাওবাদী দাপট। আতঙ্কের পরিবেশ থেকে বেরিয়ে, স্বাভাবিক হওয়ার পথে এগোচ্ছিল জঙ্গলমহল। কিন্তু, সেই ছবি কি আবার বদলাতে শুরু করেছে?
রাজ্য গোয়েন্দা সূত্রে খবর, নতুন করে ঢোকার চেষ্টা করছে মাওবাদীরা। অল্প অল্প করে বাড়ছে তাদের আনাগোনা। বেলপাহাড়ি, ঝাড়গ্রাম, লালগড় সহ বিভিন্ন জায়গায় গোপন মিটিংও হচ্ছে।
কিষেণজির মৃত্যুর পর গত সাড়ে তিন বছরে জঙ্গলমহলে বন্ধ ডাকা তো দূর অস্ত, পোস্টার মারার অবস্থাতেও প্রায় ছিল না মাওবাদীরা। কিন্তু সোমবার মাওবাদীদের ডাকা বনধের দিনেই, ছত্রধরের মুক্তির দাবিতে বন্ধ ডাকে জনসাধারণের কমিটি, যার অস্তিত্বও প্রায় মুছে গিয়েছিল। এরাজ্যের জঙ্গলমহলে এই বনধের প্রভাব কিন্তু খানিকটা হলেও পড়েছিল।
এর আগে মাওবাদীরা এলাকায় ঢুকলেই সোর্স মারফত খবর পেয়ে যেত পুলিস। সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয়ে যেত অপারেশন। একদিকে উন্নয়ন, অন্যদিকে মাও-অপারেশন। এই জোড়া ফলায় সাফল্য পাচ্ছিল প্রশাসন।
সে ছবিও সম্প্রতি বদলাচ্ছে। কিন্তু কেন?
পুলিসের ভূমিকায় অসন্তোষ যত বাড়ছে, অনাস্থা যত বাড়ছে, তত কমছে পুলিসের খবরের সোর্স। আর এই ফাঁকটাই কাজে লাগাতে চাইছে মাওবাদীরা। নতুন করে জঙ্গলমহলের গরিব মানুষের আস্থা অর্জনের চেষ্টা চলছে। বড়সড় কর্মসূচির চেষ্টায় না গিয়ে, অল্প অল্প করে জঙ্গলমহলের মাটিতে নতুন করে শিকড় গাড়াই এখন মাওবাদীদের স্ট্র্যাটেজি।