নিশানায় কেন্দ্রীয় সরকার, বিজেপিকে নিয়ে নরম মুখ্যমন্ত্রী
হাওড়ার ভোট প্রচারের দ্বিতীয় দিনেও বিজেপি প্রসঙ্গে নরমই থাকলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হাওড়ায় দুটি জনসভাতেই একের পর এক তোপ দেগেছেন কংগ্রেস ও বামেদের বিরুদ্ধে। নিশানায় ছিল কেন্দ্রীয় সরকারও। কিন্তু বিজেপি সম্পর্কে এই নরম সুর ভবিষ্যতের কোনও জোট সমীকরণের ইঙ্গিত কিনা তা নিয়েই এখন আলোচনা রাজনৈতিক মহলে। দুহাজার নয় সাল থেকেই কংগ্রেসের সঙ্গে জোট। সেই জোটের কাঁধে ভর করেই একের পর এক নির্বাচনী বৈতরনী পার। এবার কংগ্রেসের সঙ্গে ভেস্তে গেছে জোট। আর সে কারণেই কী হাওড়া লোকসভা ভোটের আগে একটু চিন্তিত মুখ্যমন্ত্রী? নাহলে হঠাত্ করে কেন টেনে আনলেন জঙ্গিপুরের প্রসঙ্গ?
হাওড়ার ভোট প্রচারের দ্বিতীয় দিনেও বিজেপি প্রসঙ্গে নরমই থাকলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হাওড়ায় দুটি জনসভাতেই একের পর এক তোপ দেগেছেন কংগ্রেস ও বামেদের বিরুদ্ধে। নিশানায় ছিল কেন্দ্রীয় সরকারও। কিন্তু বিজেপি সম্পর্কে এই নরম সুর ভবিষ্যতের কোনও জোট সমীকরণের ইঙ্গিত কিনা তা নিয়েই এখন আলোচনা রাজনৈতিক মহলে। দুহাজার নয় সাল থেকেই কংগ্রেসের সঙ্গে জোট। সেই জোটের কাঁধে ভর করেই একের পর এক নির্বাচনী বৈতরনী পার। এবার কংগ্রেসের সঙ্গে ভেস্তে গেছে জোট। আর সে কারণেই কী হাওড়া লোকসভা ভোটের আগে একটু চিন্তিত মুখ্যমন্ত্রী? নাহলে হঠাত্ করে কেন টেনে আনলেন জঙ্গিপুরের প্রসঙ্গ?
কংগ্রেসকে সঙ্গে না পেলেও অবশ্য পরোক্ষে মিলেছে বিজেপির সমর্থন। প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেও বিজেপির সরে দাঁড়ানো, নিঃসন্দেহে হাওড়ার ভোটে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। কেন গুরুত্বপূর্ণ? কংগ্রেসকে সঙ্গে নিয়ে গত লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল এই আসনে জিতেছিল সাইতিরিশ হাজার ভোটে। এবার কংগ্রেস সরে যাওয়ায় তৃণমূলের ভোট কত তা বলা কার্যত অসম্ভব। এই আসনে বিজেপি পেয়েছিল আটতিরিশ হাজার ভোট। ফলে বিজেপির সমর্থন যে একটা বড় ফ্যাক্টর তা বলার অপেক্ষা রাখেনা। আর সেই কারণেই সম্ভবত কংগ্রেসের বিরুদ্ধে একের পর এক আক্রমণ শানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
বামেদের বিরুদ্ধেও চড়া সুর মুখ্যমন্ত্রীর।
বিজেপির বিরুদ্ধে অবশ্য সেই ঝাঁঝ উধাও মুখ্যমন্ত্রীর ভাষণে।
তবে হাওড়ার ভোটে তৃণমূলকে বিজেপির এই পরোক্ষ সমর্থন নিয়ে কিন্তু ইতিমধ্যেই সরগোল বিভিন্ন মহলে। আগামী লোকসভা নির্বাচনেও এই বন্ধুত্ব আরও কতটা দৃঢ হতে পারে তা নিয়েও শুরু হয়েছে জল্পনা।