পঞ্চায়েত নির্বাচনে অপ্রতুল পুলিস, স্বীকারোক্তি রাজ্য সরকারের
কোনওভাবেই যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় পুলিস কর্মী জোগাড় করা যাচ্ছেনা তা স্বীকার করে নিল রাজ্য সরকার। রাজ্য পুলিসের এডিজি আইনশৃঙ্খলা বানীব্রত বসু জানান, প্রথম দফার নির্বাচনের জন্য ঘাটতি থাকছে সত্তর হাজার পুলিস কর্মী। একথা কমিশনকে চিঠি দিয়ে জানাল সরকার। সরকারের এই চিঠির পর ফের অনিশ্চয়তার মুখে পঞ্চায়েত ভোটের ভবিষ্যত।
কোনওভাবেই যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় পুলিস কর্মী জোগাড় করা যাচ্ছেনা তা স্বীকার করে নিল রাজ্য সরকার। রাজ্য পুলিসের এডিজি আইনশৃঙ্খলা বানীব্রত বসু জানান, প্রথম দফার নির্বাচনের জন্য ঘাটতি থাকছে সত্তর হাজার পুলিস কর্মী। একথা কমিশনকে চিঠি দিয়ে জানাল সরকার। সরকারের এই চিঠির পর ফের অনিশ্চয়তার মুখে পঞ্চায়েত ভোটের ভবিষ্যত।
রাজ্যে প্রথম দফায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য প্রয়োজন একলক্ষ আঠারো হাজার পুলিস কর্মী। আর কোনওভাবেই যে তা জোগাড় করা যাচ্ছে না তা মেনে নিল রাজ্য প্রশাসন। মঙ্গলবার এডিজি আইনশৃঙ্খলা বানীব্রত বসু জানান
প্রথম দফা নির্বাচনের জন্যই ঘাটতি সত্তর হাজার পুলিস কর্মী
রাজ্য নির্বাচন কমিশনার মীরা পাণ্ডেকে চিঠি দিয়ে একথা জানানো হয়েছে।
এডিজি আইনশৃঙ্খলা বানীব্রত বসু জানান, মাওবাদী প্রভাবিত রাজ্যগুলি থেকে সশস্ত্র পুলিস পাওয়া যাবে না।
তাই, নতুন করে অন্যান্য রাজ্য যেখানে মাওবাদী সমস্যা নেই সেখানে চিঠি পাঠিয়েছে সরকার
তিনি জানান, ইতিমধ্যেই পঞ্জাব, ওডিশা, মধ্যপ্রদেশের কাছ থেকে সশস্ত্র বাহিনী চেয়ে চিঠি পাঠায় সরকার, কোনও ইতিবাচক উত্তর মেলেনি
রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে পাঠানো চিঠিতে সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, কোনও প্রার্থীকে নিরাপত্তা রক্ষী দেওয়া সম্ভব নয়।
বুধবার থেকে পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়ন জমা দেওয়া শুরু হচ্ছে। কমিশনে পাঠানো চিঠিতে জানানো হয়েছে মনোনয়নের সময় নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে রাজ্য পুলিস।
সোমবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনার মীরা পাণ্ডে জানান, আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী নিরাপত্তা ব্যবস্থা করতে হবে রাজ্যকে। না হলে, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রশ্ন উঠছে, শেষপর্যন্ত যদি রাজ্য সরকার আদালতের নির্দেশ মতো নিরাপত্তা ব্যবস্থা করতে না পারে তাহলে কী ফের আদালতের দ্বারস্থ হবে কমিশন? সেক্ষেত্রে কী ফের প্রশ্নের মুখে পড়তে চলেছে পঞ্চায়েত ভোটের ভবিষ্যত।