মুখ্যমন্ত্রীর গলায় এখন শুধু বিরোধীদের দেখে নেওয়ার হুমকি
এবার প্রকাশ্য সভায় দাঁড়িয়েই বিরোধী দলগুলিকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানে না মারলেও, তাদের অবস্থা যে কাহিল করে দেওয়া হবে সেকথাও জানাতে কসুর করেননি তৃণমূল নেত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর রোষের মুখ থেকে বাদ যায়নি কামদুনিও। সিবিআইয়ের কাজকর্ম নিয়েও সুর চড়িয়েছেন নেত্রী। মুখ্যমন্ত্রী গলায় এভাবে বিরোধীদের দেখে নেওয়ার হুমকিতে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
এবার প্রকাশ্য সভায় দাঁড়িয়েই বিরোধী দলগুলিকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানে না মারলেও, তাদের অবস্থা যে কাহিল করে দেওয়া হবে সেকথাও জানাতে কসুর করেননি তৃণমূল নেত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর রোষের মুখ থেকে বাদ যায়নি কামদুনিও। সিবিআইয়ের কাজকর্ম নিয়েও সুর চড়িয়েছেন নেত্রী। মুখ্যমন্ত্রী গলায় এভাবে বিরোধীদের দেখে নেওয়ার হুমকিতে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
কখনও মহাকরণে কখনও জনসভায়। বহুবার বিরোধীদের হুমকি দিতে শোনা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
কিন্তু, বুধবারের সভায় নিজেকেই যেন ছাপিয়ে গেলেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানে না মারলেও, বিরোধীদের বুঝে নেওয়ার হুমকি দিলেন জনসভার মঞ্চে দাঁড়িয়ে।
গত দু বছরে পশ্চিবঙ্গে রাজনৈতিক হিংসার বলি হয়েছেন কয়েকশো বাম কর্মী সমর্থক। পঞ্চায়েত নির্বাচন পর্বেই বামেদের দাবি তাদের ১৩ জন সমর্থক খুন হয়েছেন। ঘরছাড়া বহু কর্মী। সন্ত্রাসের কারণে সাড়ে ছহাজারের বেশি আসনে প্রার্থীই দিতে পারেনি বিরোধীরা। হামলা, জমি কেড়ে নেওয়া অথবা বাড়ি ভাঙচুর নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এরপর ফের মুখ্যমন্ত্রীর হুমকি।
শুধু বিরোধীদের দেখে নেওয়াতেই থেমে থাকেননি মুখ্যমন্ত্রী। কামদুনির মৌসুমি-টুম্পাদের নিয়েও হুমকি শোনা গেছে মুখ্যমন্ত্রীর গলায়।
একসময়ে, পাড়ার গণ্ডগোলেও সিবিআই তদন্তের দাবি করতেন যিনি, এখন সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলাতেই সিবিআই তদন্ত নিয়ে একেবারেই ভিন্ন সুর।
সিবিআই নিয়ে হঠাত কেন এতটা চরম অবস্থান কেন মুখ্যমন্ত্রীর? তাহলে কী কোনও ইস্যুতে সিবিআই তদন্ত হলে সমস্যা দেখা দিতে পারে তৃণমূলের অন্দরে? সেকারণেই অফেন্স ইজ দ্য বেস্ট ডিফেন্সের পথেই হাঁটছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাহলে বদলা নয় বদল চাই স্লোগানে কি দু বছরের মধ্যেই বদলে গেল?