দীপাবলি উপলক্ষে চাঁদার জুলুম রাজ্যের উত্তর থেকে দক্ষিণে
আলোর উত্সবে, অন্ধকারের ছায়া। চাঁদার জন্য জুলুম। রাজ্যের উত্তর থেকে দক্ষিণ, উঠে আসছে একাধিক অভিযোগ। কোথাও চাঁদার জুলুমের বিরুদ্ধে মুখ খোলায়, মার খেয়ে ভর্তি হতে হচ্ছে হাসপাতালে। রেহাই নেই মহিলাদেরও। কোথাও আবার পথেই জুলুমবাজি। কুড়ি কিলোমিটার রাস্তা যেতে অন্তত তিরিশ জায়গায় গাড়ি থামাতে হচ্ছে, শুধু চাঁদার দাবি মেটাতেই।
ওয়েব ডেস্ক : আলোর উত্সবে, অন্ধকারের ছায়া। চাঁদার জন্য জুলুম। রাজ্যের উত্তর থেকে দক্ষিণ, উঠে আসছে একাধিক অভিযোগ। কোথাও চাঁদার জুলুমের বিরুদ্ধে মুখ খোলায়, মার খেয়ে ভর্তি হতে হচ্ছে হাসপাতালে। রেহাই নেই মহিলাদেরও। কোথাও আবার পথেই জুলুমবাজি। কুড়ি কিলোমিটার রাস্তা যেতে অন্তত তিরিশ জায়গায় গাড়ি থামাতে হচ্ছে, শুধু চাঁদার দাবি মেটাতেই।
চাঁদা চাই, চাঁদা। আদুরে আবদার না, ফরমায়েশ। অনুরোধের বালাই নেই। সবটাই যেন জমিদারি। চাই মানে, দিতে হবে। না দিলে, এই হাল! ক্লাবের দাদাদের কথা না শুনলে, রেজাল্ট মারাত্মক। এ একেবারে প্রাণের দায়। পিঠে দু-চার ঘা নয়, মেরে হাসপাতালে পৌছে দিলেও, অবাক হওয়ার নেই। আর প্রতিবাদ! কক্ষণও না।
শিলিগুড়ি জংশন এলাকার পঞ্চানন কলোনির বাসিন্দা, রেল কর্মী কৃষ্ণ দাস। ইনি তাঁরই স্ত্রী সুনীতা। অভিযোগ, কৃষ্ণ দাসের বাড়িতে দলবল নিয়ে চাঁদা আদায়ে যান স্থানীয় পাড়ার দাদা নরসিংহ মাহাত। কালীপুজোর চাঁদা হিসেবে সাড়ে তিনশো টাকা দাবি করা হয় ক্লাবের তরফে। এত টাকা দিতে রাজি হননি ওই রেলকর্মী, যার ফল মেলে হাতেনাতে। অভিযোগ, বেধড়ক মারধর করা হয় কৃষ্ণ দাস, তাঁর স্ত্রী সুনীতা , ছেলে দেবেশ এবং শ্যালিকা নিবেদিতা মণ্ডলকে। যে ক্লাবের বিরুদ্ধে এই জুলুমবাজির অভিযোগ উঠেছে , তারা অবশ্য তা মানতে নারাজ। তাঁদের পাল্টা দাবি, মদ্যপ কৃষ্ণ দাসের হাতে মার খায় ক্লাবের ছেলেরাই। আরও পড়ুন, ভায়া কলকাতা নয়, এবার সোজা বর্ধমান টু শিলিগুড়ি