খাগড়াগড় বিস্ফোরণ: শিমূলিয়ার সেই মাদ্রাসা এখন ধ্বংসস্তুপ
২০১৪, ২ অক্টোবর খাগড়াগড় বিস্ফোরণের পরই সামনে এসেছিল শিমূলিয়া মাদ্রাসার কথা। সেখানে মহিলা ও শিশুদের জঙ্গি প্রশিক্ষণের বিস্তারিত কথা উঠে এসেছিল সংবাদ মাধ্যমে। একবছর পর সেই শিমূলিয়া মাদ্রাসার ভগ্ন দশা উঠে এল চব্বিশ ঘণ্টার ক্যামেরায়। উদ্ধার হওয়া বোমা ফাটানোর ছবি।
একটা বিস্ফোরণ। বদলে দিয়েছে এরাজ্যের সন্ত্রাসের মানচিত্র। মৌলবাদী সন্ত্রাসের আঁচ যে এরাজ্যেও বাসা বেঁধেছে তা স্পষ্ট করে দিয়েছে খাগড়াগড় বিস্ফোরণ। তদন্তের জল গড়িয়েছে মঙ্গলকোটের শিমূলিয়া মাদ্রাসায়। গোয়েন্দারা জানতে পারেন কিভাবে ওই মাদ্রাসা ঘিরেই তৈরি হয়েছিল জঙ্গি তৈরির কারখানা।
বিস্ফোরণের এক বছর পর এখন এটাই চেহারা শিমূলিয়া মাদ্রাসার।
এখানেই একসময় জেহাদের নামে চলত মহিলা ও শিশুদের জঙ্গি প্রশিক্ষণ। যার কিংপিন হিসেবে গোয়েন্দাদের সামনে উঠে এসেছিল ইউসুফ শেখ ও বোরহান শেখের নাম।
ইউসুফ শেখের খোঁজ দিতে পারলে দশ লক্ষ টাকা আর বোরহানের ক্ষেত্রে তিন লক্ষ টাকা পুরষ্কার ঘোষণা করেছে এনআইএ। এরপর বছর কেটে গেলেও দুজনের নাগাল কিন্তু পাওয়া যায়নি।
তারা কোথায় তা নিয়ে পুরোপুরি অন্ধকারে বোরহান-ইউসুফের পরিবারও।
বোরহান-ইউসুফ বেপাত্তা। এনআইএ-র নির্দেশে একবছর ধরে শিমূলিয়া মাদ্রাসা পাহাড়া দিচ্ছে মঙ্গলকোটের পুলিস।
এখন সেখানে উঠোন জুড়ে আগাছা। বৃষ্টির জলে ধসে পড়া মাটির দেওয়াল। ভেঙে পড়া খড়ের চাল। যে ভগ্ন দশাই জানান দিচ্ছে শিমূলিয়ায় জঙ্গিদের স্বপ্নভগ্নের কথা।