তৃণমূল শ্রমিক ইউনিয়নের দাদাগিরিতে টানা দু'বছর বন্ধ কেন্দ্রা কোলিয়ারি
টানা দুবছর বন্ধ বর্ধমানের পাণ্ডবেশ্বরের কেন্দ্রা কোলিয়ারি। আধিকারিকদের নিরাপত্তার অভাবে দু বছর আগে এই খনিতে সাসপেনশন অফ ওয়ার্কের নোটিস ঝুলিয়ে দেয় কর্তৃপক্ষ। ঘটনার জন্য শাসকদলের কর্মী ইউনিয়নকেই দায়ী করা হয়। যদিও কর্তৃপক্ষের অভিযোগ আজও মানতে নারাজ স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব।
পান্ডবেশ্বর: টানা দুবছর বন্ধ বর্ধমানের পাণ্ডবেশ্বরের কেন্দ্রা কোলিয়ারি। আধিকারিকদের নিরাপত্তার অভাবে দু বছর আগে এই খনিতে সাসপেনশন অফ ওয়ার্কের নোটিস ঝুলিয়ে দেয় কর্তৃপক্ষ। ঘটনার জন্য শাসকদলের কর্মী ইউনিয়নকেই দায়ী করা হয়। যদিও কর্তৃপক্ষের অভিযোগ আজও মানতে নারাজ স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব।
শাসকদলের নেতা-কর্মীদের তোলা আদায়ে অতিষ্ঠ রাজ্যের একাধিক কারখানা কর্তৃপক্ষ। এমন ঘটনার সব চেয়ে বড় উদাহরণ জামুড়িয়ার শ্যাম সেল কারখানা। আবার তৃণমূলের শ্রমিক নেতাদের হুমকির জেরে বন্ধের মুখে ইস্টার্ন কোল ফিল্ডের জেকে নগর কোলিয়ারি। যদিও এইসব ঘটনাকে গুরুত্ব দিতে নারাজ মুখ্যমন্ত্রী। তবে শুধু তোলা আদায় নয়।
কাজে না এসেও হাজিরার খাতায় নাম তোলাতে আধিকারিকদের চাপ দিয়েছেন তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকেরা, এমন ঘটনাও ঘটেছে। আপত্তি জানানোয় সেইসব আধিকারিকদের হেনস্থার শিকার হতে হয়। দুবছর আগে ঠিক এমনটাই ঘটেছিল পাণ্ডবেশ্বরে ইস্টার্ন কোলফিল্ডসের কেন্দ্রা কোলিয়ারিতে। অভিযোগ, ডিউটির সময় গরহাজির থাকায় দুহাজার বারো সালের বাইশে অগাস্ট শাসকদলের শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা-কর্মীদের কোলিয়ারির হাজিরার খাতায় অনুপস্থিত হিসাবে দেখান কোলিয়ারির তত্কালীন জেনারেল ম্যানেজার সি এন দাস। এরপরেই হেনস্থা করা হয় তাঁকে। পরে থানায় অভিযোগ জানানোয় সেই রাতেই তাঁর বাড়িতে বিক্ষোভ দেখায় শ্রমিক ইউনিয়নের লোকজন। অভিযুক্তদের কয়েকজনকে পুলিস গ্রেফতার করায় পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হয়ে ওঠে। FIR তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি দেওয়া হয় GM-কে । এবিষয়ে থানা থেকে সাহায্য না মেলায় কয়েকদিন পরেই কেন্দ্রা কোলিয়ারিতে সাসপেনশন ওফ ওয়ার্কের নোটিস ঝুলিয়ে দেয় কর্তৃপক্ষ। কোলিয়ারির আটশোজন কর্মীর মধ্যে আশিজনকে রেখে, বাকিদের ইস্টার্ন কোলফিল্ডসের অন্যান্য কোলিয়ারিতে বদলি করা হয়।
দিন বদলেছে। কিন্তু বদলায়নি তৃণমূলের শ্রমিক ইউনিয়নের দাদাগিরি। তাই আজও খোলা যায়নি পাণ্ডবেশ্বরের কেন্দ্রা কোলিয়ারি। দুবছর আগের সেই আতঙ্ক এখনও তাড়া করে বেড়াচ্ছে আধিকারিদের। যদিও কোলিয়ারি বন্ধের জন্য তাঁদের কর্মী ইউনিয়নই দায়ী , এমন কথা মানতে নারাজ স্থানীয় তৃণমূল নেতারা।