আড়াই বছরের প্রতীক্ষা শেষ, ২৮ জানুয়ারি কামদুনি গণধর্ষণ মামলার রায়
আড়াই বছরের প্রতীক্ষা শেষ। ২৮ জানুয়ারি কামদুনি গণধর্ষণ মামলার রায়। ওইদিন দুপুর দুটোয় রায় ঘোষণা করবেন বিচারক সঞ্চিতা সরকার। দোষী প্রমাণিত হলে অভিযুক্তদের সর্বোচ্চ শাস্তি চাইবে সরকারপক্ষ।
ওয়েব ডেস্ক: আড়াই বছরের প্রতীক্ষা শেষ। ২৮ জানুয়ারি কামদুনি গণধর্ষণ মামলার রায়। ওইদিন দুপুর দুটোয় রায় ঘোষণা করবেন বিচারক সঞ্চিতা সরকার। দোষী প্রমাণিত হলে অভিযুক্তদের সর্বোচ্চ শাস্তি চাইবে সরকারপক্ষ।
৭ জুন, ২০১৩। গোটা রাজ্যকে নাড়িয়ে দেয় এই গণধর্ষণকাণ্ড। প্রতিবাদে গর্জে ওঠে কামদুনি। মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশে পুলিসের হাত ঘুরে তদন্ত যায় সিআইডির হাতে। গ্রেফতার হয় আট অভিযুক্ত।
কামদুনির অপরাধীরা- সৈফুল মোল্লা, আনসার আলি, শামিমুল মোল্লা, আমিরুল মোল্লা, ভোলা নস্কর, আমিন আলি, নুর আলি, গোপাল নস্কর।
ওই বছর বারাসত ফাস্টট্রাক আদালতে বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়। ২০১৩-র জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে চার্জশিট জমা দেয় CID। কিন্তু, চার্জশিট নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারক। পরের সপ্তাহে চার্জশিটে নাম জোড়া হয় আমিন আলি ও নুর আলির। এরমধ্যেই নিরাপত্তার কারণে বারাসত আদালত থেকে মামলা সরানোর আবেদন জানায় নির্যাতিতার পরিবার।
১২ অগাস্ট, ২০১৩। কামদুনি মামলা নগর দায়রা আদালতের ২ নং বেঞ্চে সরানোর নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। এরপর থেকে বিচারক স়ঞ্চিতা সরকারে এজলাসে মামলা চলছিল।
১০ সেপ্টেম্বর,২০১৩। কামদুনির অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন। ওই বছরের অক্টোবর CID-র হাতে ধরা পড়ে নবম অভিযুক্ত রফিক ইসলাম। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গণধর্ষণ ও খুন ছাড়াও মোট ৫ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
কামদুনির সাজা- ৩৭৬ ডি অর্থাত্ গণধর্ষণ, ৩৭৬ এ ধর্ষণের পর খুন। সর্বোচ্চ সাজা যাবজ্জীবন। সর্বনিম্ন সাজা ২০ বছরের জেল। ৩০২ অর্থাত্ খুন। সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড। ১২০ বি অর্থাত্ অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, ২০১ অর্থাত্ প্রমাণ লোপাট। দোষী প্রমাণিত হলে অপরাধীদের জন্য সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি করবেন তাঁরা। জানিয়েছেন সরকারি আইনজীবী। বিচার প্রক্রিয়া চলাকালীন এছর জেলে মারা যায় অন্যতম অভিযুক্ত গোপাল নস্কর। বাকি ৮ জনের বিরুদ্ধে ২৮ জানুয়ারি দুপুর দুটোয় রায় দেবেন বিচারক সঞ্চিতা সরকার। আড়াই বছর ধরে যে মুহুর্তের অপেক্ষায় কামদুনি।