টিউশন থেকে ফেরারা পথে দশম শ্রেণীর ছাত্রীকে গনধর্ষণ করে খুন, কামদুনির পথে কাকদ্বীপ

কামদুনির পর এবার  কাকদ্বীপ। টিউশন সেরে ফেরার পথে দুষ্কৃতী নির্যাতনের শিকার দশম শ্রেণির ছাত্রী। পরিবারের অভিযোগ, ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে মেয়েটিকে। শুক্রবার বাড়ির কাছেই টিউশন পড়তে গিয়েছিল মেয়েটি। ফেরার পথে তাকে অপহরণ করে কয়েকজন দুষ্কৃতী। শনিবার ভোররাতে স্থানীয় একটি পুকুরে মেয়েটির ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়। ক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকার মানুষ। পুলিসি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে ফেটে পড়েন নির্যাতিতার পরিবার।তাদের অভিযোগ, ধর্ষণের অভিযোগ নিতে চাইছে না পুলিস।

Updated By: Nov 22, 2015, 06:44 PM IST
টিউশন থেকে ফেরারা পথে দশম শ্রেণীর ছাত্রীকে গনধর্ষণ করে খুন, কামদুনির পথে কাকদ্বীপ

কাকদ্বীপ: কামদুনির পর এবার  কাকদ্বীপ। টিউশন সেরে ফেরার পথে দুষ্কৃতী নির্যাতনের শিকার দশম শ্রেণির ছাত্রী। পরিবারের অভিযোগ, ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে মেয়েটিকে। শুক্রবার বাড়ির কাছেই টিউশন পড়তে গিয়েছিল মেয়েটি। ফেরার পথে তাকে অপহরণ করে কয়েকজন দুষ্কৃতী। শনিবার ভোররাতে স্থানীয় একটি পুকুরে মেয়েটির ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়। ক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকার মানুষ। পুলিসি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে ফেটে পড়েন নির্যাতিতার পরিবার।তাদের অভিযোগ, ধর্ষণের অভিযোগ নিতে চাইছে না পুলিস।

কাকদ্বীপের ছাত্রী খুনে প্রশ্নের মুখে পুলিস। খুনের সঙ্গে ধর্ষণের অভিযোগ যোগ করার দাবিতে সরব কাকদ্বীপ। দিনভর দেহ আগলে বিক্ষোভ এলাকার মানুষের। যদিও, রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের পাল্টা অভিযোগ তুলছেন এলাকার বিধায়ক।

প্রতিবাদী কামদুনি
 কলেজ থেকে বাড়ি ফিরছিল মেয়েটি। বর্ষার সন্ধেয় ওঁত পেতে বসেছিল দুষ্কৃতীরা।  কারখানার শুনসান জমিতে টেনে নিয়ে প্রথমে গণধর্ষণ, তারপর পা চিরে খুন।

কামদুনির ছায়া কাকদ্বীপে

উত্তরের সন্ধের আতঙ্ক ফিরল দক্ষিণের দুপুরে।

মিল ১
কামদুনির ছাত্রীর মতো টিউশন সেরে বাড়ি ফিরছিল দশম শ্রেণির ছাত্রীটি।
মিল ২
টেনে হিঁচড়ে তাকে টেনে নিয়ে যায় গোপাল ও তার সঙ্গীরা।
মিল ৩
প্রথমে ধর্ষণ তারপর খুন।
মিল ৪
শুনসান জায়গা থেকে উদ্ধার ক্ষতবিক্ষত দেহ।

প্রতিবাদী কামদুনি

 কলেজ পড়ুয়া মেয়েটির ধর্ষণ ও খুনের বিচার চেয়ে সেদিন গর্জে উঠেছিল কামদুনি।  প্রতিবাদের স্বর পৌছেছিল রাষ্ট্রপতির দরবার পর্যন্ত।

কামদুনির পথে কাকদ্বীপ

পথে নেমেছে কাকদ্বীপও। পুলিসি নিষ্ক্রিয়তার প্রতিবাদে গর্জে উঠেছে গোটা গ্রাম। মেয়ের দেহ বরফে আগলে সামিল বাবা মাও। দাবি একটাই,খুনের সঙ্গে পুলিসকে যোগ করতে হবে ধর্ষণের অভিযোগও। স্থানীয় চৌরাস্তার মোড় অবরোধ করেন এলাকার মানুষ। বিক্ষোভ চলে কাকদ্বীপ থানাতেও। ভাঙচুর হয় মূল অভিযুক্ত গোপাল হাজরার বাড়ি। সাধারণ মানুষের ক্ষোভের পিছনে  রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র দেখছেন এলাকার বিধায়ক মন্টুরাম পাখিরা।

শেষপর্যন্ত সন্ধের মুখে খুনের সঙ্গে ধর্ষণের অভিযোগ যোগ করে পুলিস। দাবি মেনে নেওয়ায় ৫ঘণ্টা পর বিক্ষোভ তুলে নেন কাকদ্বীপের মানুষ।

 

.