ঘটনা দুই, দৃশ্য এক, চিকিত্‍সার গাফিলতি অভিযোগে বিক্ষোভ, ভাঙচুর

প্রতিদিনই কোনও না কোনও সরকারি হাসপাতালে চিকিত্‍সার গাফলতির অভিযোগ ঘটছেই। গতকাল আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতাল ও কল্যাণী জওহরলাল নেহেরু হাসাপাতালে গাফিলতির অভিযোগে বিক্ষোভ দেখায় রোগীর আত্মীয়রা।    

Updated By: Nov 22, 2015, 12:12 PM IST

ওয়েব ডেস্ক: প্রতিদিনই কোনও না কোনও সরকারি হাসপাতালে চিকিত্‍সার গাফলতির অভিযোগ ঘটছেই। গতকাল আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতাল ও কল্যাণী জওহরলাল নেহেরু হাসাপাতালে গাফিলতির অভিযোগে বিক্ষোভ দেখায় রোগীর আত্মীয়রা।    

দৃশ্য-১, ঘটনাস্থল- আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতাল

রোগী মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে। চিকিত্সায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে গত রাতে হাসপাতালের ডাক্তারদের ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখালেন রোগীর আত্মীয়রা। শুক্রবার রাতে পেটে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন গৌরাঙ্গ সরকার নামে এক বৃদ্ধ। শনিবার সকালে হাসপাতাল থেকে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় ফের তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বিকেলে অবস্থা আরও খারাপ হয়। অভিযোগ, বারবার ডাকা হলেও আসেননি কর্তব্যরত চিকিত্সক। পরে ডাক্তার এসে বৃদ্ধকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ রোগীর আত্মীয়রা। রাত পর্যন্ত তাঁরা বিক্ষোভ দেখান হাসপাতালে। আলিপুরদুয়ার থানায় এবং হাসপাতালের সুপারের কাছে ওই চিকিত্সকের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান রোগীর আত্মীয়রা।

দৃশ্য -২, ঘটনাস্থল- কল্যাণী জওহরলাল নেহেরু হাসাপাতল

হাসপাতালেই পড়ে অচৈতন্য ব্যক্তি। অথচ তাঁর কাছে চিকিত্সক পৌছতে পেরিয়ে গেল ঘণ্টা তিনেক। চিকিত্সক যখন দেখল, তখন ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। ঘটনা কল্যাণীর জওহরলাল নেহেরু হাসপাতালে। এমন অমানবিক ঘটনায় হতবাক রোগীর আত্মীয়রা। প্রশ্ন উঠছে, হাসপাতালের ভূমিকা নিয়ে। এখানেই শেষ নয়। জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তি হাসপাতালেই ভর্তি ছিলেন। সকাল থেকে তিনি নিখোঁজ হয়ে যান। যদিও অভিযোগ মানতে নারাজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। 

.