ময়না তদন্তের রিপোর্ট না বদলে তৃণমূলের রোষে চিকিত্সক
নিরপেক্ষতা দেখানোর 'অপরাধে' তৃণমূলের হামলার মুখে পড়ে প্রাণের ভয়ে কার্যত লুকিয়ে থাকতে হচ্ছে তমলুক জেলা হাসপাতালের সরকারি চিকিত্সক প্রদীপ দাসকে। অথচ এই ঘটনায় অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা-কর্মীরা এখনও ঘুরে বেড়াচ্ছেন বহাল তবিয়তেই।
নিরপেক্ষতা দেখানোর 'অপরাধে' তৃণমূলের হামলার মুখে পড়ে প্রাণের ভয়ে কার্যত লুকিয়ে থাকতে হচ্ছে তমলুক জেলা হাসপাতালের সরকারি চিকিত্সক প্রদীপ দাসকে। অথচ এই ঘটনায় অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা-কর্মীরা এখনও ঘুরে বেড়াচ্ছেন বহাল তবিয়তেই।
নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় অভিযুক্তকে আড়ালের চেষ্টার অভিযোগ উঠল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। ধর্ষণ ও খুনে অভিযুক্ত তমলুকের স্কুল শিক্ষককে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিস। ধর্ষণের প্রমাণ মিলেছে ময়না তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে। সেই রিপোর্ট বদলের জন্য বেশ কিছুদিন ধরেই স্থানীয় তৃণমূল নেতা চঞ্চল খাঁড়া চিকিত্সক প্রদীপ দাসের ওপর চাপ সৃষ্টি করছিলেন বলে অভিযোগ।
এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার রাতে চিকিত্সকের বাড়িতে চড়াও হয়ে ভাঙচুর চালায় একদল দুষ্কৃতী। প্রদীপবাবুর স্ত্রীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজও করে তারা। রাতেই তমলুক থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই চিকিত্সক। কিন্তু তমলুক থানার ওসি অরুণ খান সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী ও তমলুকের বিধায়ক তথা জলসম্পদ মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্রের `অতি ঘনিষ্ঠ` হিসেবে পরিচিত `বাহুবলী` নেতা চঞ্চল খাঁড়া এবং তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেননি বলে অভিযোগ। তমলুক শহর যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি চঞ্চল খাঁড়া এবং তাঁর স্ত্রী তথা তমলুক পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তৃপ্তি খাঁড়ার বিরুদ্ধে এর আগেও সরকারি আধিকারিকদের ওপর হামলা, বেআইনিভাবে জমি দখল-সহ বেশ কিছু অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু কোনও ক্ষেত্রেই শাসক দলের এই উঠতি নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি পুলিস।