কমিশনের আশ্বাসই সার, বুথ শাসন করল রাজ্য পুলিসই
কমিশনের আশ্বাসই সার। গ্রামের রাস্তায় টহল দিতে দেখা গেল না কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের। বাড়ি থেকে ভোটারদের নির্বিঘ্নে ভোটকেন্দ্রে পৌছনোর দায়িত্বেও নজরে পড়ল না আধা সেনার। সব বুথের ভিতরেও নেই কেন্দ্রীয় বাহিনী। বেশ কিছু বুথে রাজ্য পুলিসের অবাধ আনাগোনা।
ওয়েব ডেস্ক: কমিশনের আশ্বাসই সার। গ্রামের রাস্তায় টহল দিতে দেখা গেল না কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের। বাড়ি থেকে ভোটারদের নির্বিঘ্নে ভোটকেন্দ্রে পৌছনোর দায়িত্বেও নজরে পড়ল না আধা সেনার। সব বুথের ভিতরেও নেই কেন্দ্রীয় বাহিনী। বেশ কিছু বুথে রাজ্য পুলিসের অবাধ আনাগোনা।
অথচ ভোটের বিজ্ঞপ্তি জারির অনেক আগেই মূলত ভোটারদের আস্থা অর্জন করতে এবং সাহস জোগাতে মোতায়েন করা হয় আধাসেনা। এরিয়া ডমিনেশন, ফ্ল্যাগমার্চ, রুট মার্চ, চলেছে সবই। বাড়ি থেকে ভোটাররা নিরাপদে যাতে ভোটকেন্দ্রে পৌছতে পারেন, সেজন্যও নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার আশ্বাস দেয় কমিশন।
কিন্তু সোমবার দেখা গেল সম্পূর্ণ ভিন্ন ছবি। শুনশান রাস্তা। দেখা নেই আধা সেনার। নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী বুথের ১০০ মিটারের ভিতর রাজ্য পুলিস ঢুকতে পারবে না। কিন্তু বাঁকুড়ার তালডাংরার ভূতশহর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে দেখা গেল একেবারে উল্টো ছবি। বুথের ভিতর রাজ্য পুলিসের অবাধ আনাগোনা। নেই কেন্দ্রীয় বাহিনী।
পুরুলিয়ার রঘুনাথপুরে উচ্চতর বালিকা বিদ্যালয়ে বুথের ভিতর রাজ্য পুলিসের হোমগার্ড। শুধু তাই নয়, বুথের ভিতর অবাধে ঢুকেছেন তৃণমূলের এমন নেতারা, যাঁরা ওখানকার ভোটারই নন। দলবল নিয়ে ভোটকর্মীদের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায় রঘুনাথপুর পুরসভার তৃণমূলের চেয়ারম্যান ভবেশ চ্যাটার্জির। ২৪ ঘণ্টার প্রতিনিধি পৌছতেই পুলিস এসে বন্ধ করে দেয় অবাধ প্রবেশ। বাইরে বের করে দেওয়া হয় তৃণমূল নেতাদের।
পশ্চিম মেদিনীপুরের ছবিটাও এক। নয়াগ্রাম, গোপীবল্লভপুর, বিনপুর, ঝাড়গ্রামের বিভিন্ন গ্রামের রাস্তায় দেখা নেই আধা সেনার। মেদিনীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের কোতোয়ালির বেলিয়া স্কুল। বুথে নেই কেন্দ্রীয় বাহিনী। বুথ শাসন করল রাজ্য পুলিসই।