কুপার্স কংগ্রেসের

তৃণমূলকে ছাড়াই কংগ্রেস যে ভোটযুদ্ধে একলা চলার চ্যালেঞ্জ নিতে পারে তা স্পষ্ট করে দিল কুপার্স ক্যাম্প। কুপার্স পুরভোটের ফলাফলে এবার বারোটি ওয়ার্ডের মধ্যে ১১টিতেই জয়ী হয়েছে কংগ্রেস। কংগ্রেস নেতা শঙ্কর সিংয়ের নেতৃ্ত্বে কুপার্স পুরসভায় এই নিয়ে পরপর ৪ বার জয়ী হল কংগ্রেস।

Updated By: Jun 5, 2012, 08:46 PM IST

তৃণমূলকে  ছাড়াই  কংগ্রেস  যে ভোটযুদ্ধে একলা চলার চ্যালেঞ্জ নিতে পারে তা স্পষ্ট করে দিল কুপার্স ক্যাম্প। কুপার্স পুরভোটের ফলাফলে এবার বারোটি ওয়ার্ডের মধ্যে ১১টিতেই জয়ী হয়েছে কংগ্রেস। কংগ্রেস নেতা শঙ্কর সিংয়ের নেতৃ্ত্বে কুপার্স পুরসভায় এই নিয়ে পরপর ৪ বার জয়ী হল কংগ্রেস।
রাজ্য-রাজনীতির সমীকরণে এই জয় কংগ্রেসকে বাড়তি জমি দিল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। পুরসভা নির্বাচনের কয়েকমাস আগে থেকেই বারবার খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে কুপার্স ক্যাম্প। পুরভোটের লড়াইয়ে কংগ্রেস ও তৃণমূল দুই জোট শরিকই চেষ্টা করেছে নিজেদের আধিপত্য বজায় রাখার। কংগ্রেসকে কোনঠাসা করতে  কুপার্স পুরসভার চেয়ারম্যান সহ বারোজন কংগ্রেস কাউন্সিলরদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে জামিন অযোগ্য ধারায় এফআইআরও দায়ের করে তৃণমূল কংগ্রেস। আর সেখান থেকেই দুপক্ষের লড়াই অন্য মাত্রা পায়। জোট ভেঙে কুপার্স পুরসভায় একলা লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নেয় কংগ্রেস ও তৃণমূল দুদলই।
কুপার্সে কংগ্রেস দুর্গের দখল নিতে তৃণমূলের শীর্ষ স্থানীয় নেতা,মন্ত্রীদের দায়িত্ব দেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো। প্রচারের জন্য কুপার্সে ক্যাম্প করে থেকেও গেছেন মুকুল রায়ের মতো শীর্ষ স্থানীয়  তৃণমূল নেতারা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত শঙ্কর সিংয়ের খাসতালুকে আগের জয়ের ধারাই বজায় রেখেছে কংগ্রেস। ১২টির মধ্যে এগারোটি ওয়ার্ডেই জয়ী হন কংগ্রেস প্রার্থীরা। বাকি একটি ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছে তৃণমূল।
কংগ্রেসের কাছে লড়াইটা ছিল আত্মমর্যাদার। আর শাসকদল তৃণমূলের কাছে লড়াই ছিল সম্মানরক্ষার।  রাজ্য রাজনীতির মানচিত্রে জোট শরিক তৃণমূল কংগ্রেসের চাপে যখন অনেকটাই কোনঠাসা কংগ্রেস তখন কুপার্সের এই নিরঙ্কুশ জয় আগামী দিনে রাজ্য রাজনীতিতে কংগ্রেসের পায়ের তলার জমি অনেকটাই শক্তি করবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

.