পিংলা বিস্ফোরণ কাণ্ডে মিলল চেন্নাই যোগ, সিআইডি তদন্তের নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর
বাজির কারখানাকে সামনে রেখেই কী চলছিল অন্য কোনও ষড়যন্ত্র? বিস্ফোরণস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া একাধিক নথি চিন্তায় ফেলে দিয়েছে পুলিস কর্তাদের। উদ্ধার হওয়া নথি থেকে মিলেছে চেন্নাই যোগ। কিন্তু চেন্নাই রহস্য নিয়ে কার্যত এখনও অন্ধকারে তদন্তকারীরা। তাই খাগড়াগড়ের পুনরাবৃত্তি এড়াতেই তড়িঘড়ি সিআইডিকে দায়িত্ব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। খাগড়াগড়ের মত পিংলার বিস্ফোরণকেও মামুলি বিস্ফোরণের চেহারা দিতে সক্রিয় জেলা পুলিস।
ব্যুরো: বাজির কারখানাকে সামনে রেখেই কী চলছিল অন্য কোনও ষড়যন্ত্র? বিস্ফোরণস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া একাধিক নথি চিন্তায় ফেলে দিয়েছে পুলিস কর্তাদের। উদ্ধার হওয়া নথি থেকে মিলেছে চেন্নাই যোগ। কিন্তু চেন্নাই রহস্য নিয়ে কার্যত এখনও অন্ধকারে তদন্তকারীরা। তাই খাগড়াগড়ের পুনরাবৃত্তি এড়াতেই তড়িঘড়ি সিআইডিকে দায়িত্ব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। খাগড়াগড়ের মত পিংলার বিস্ফোরণকেও মামুলি বিস্ফোরণের চেহারা দিতে সক্রিয় জেলা পুলিস।
কিন্তু তার মাঝেই চব্বিশ ঘণ্টার হাতে এলো পিংলার বেআইনি কারখানার সঙ্গে চেন্নাইয়ের রহস্যময় যোগ। ঘটনাস্থল থেকেই মিলল চেন্নাইয়ের ঠিকানায় নথিভূক্ত একাধিক আধার কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্স। পাওয়া গিয়েছে আরবিতে লেখা বেশ কিছু নথিও। চেন্নাইয়ের পেরাম্বুরের ঠিকানায় একটি দোকান থেকে বেশ কিছু হেলমেট এবং গগলস কেনার রসিদও মিলেছে। আর সেখান থেকেই দানা বাঁধছে সন্দেহ। তবে কি খাগড়াগড়ের মতই কোনও রহস্য লুকিয়ে আছে এই বিস্ফোরণের পিছনে?
প্রশ্ন উঠছে, চেন্নাইয়ের পেরাম্বুরের বাসিন্দাদের আধার কার্ড কেন পিংলায়?
তাঁদের ড্রাইভিং লাইসেন্সও কেন এই অখ্যাত গ্রামের কারখানায়?
ওই ব্যক্তিদের পরিচয় কী?
তাঁদের সঙ্গে রঞ্জন এবং রাম মাইতিরই বা যোগাযোগ কী?
ধামাচাপা দিতে গিয়ে খাগড়াগড়ে মুখ পুড়েছিল রাজ্য পুলিসের। এবার মুখে গুরুত্ব না দিলেও, বিষয়টিকে কিন্তু ছোট করে দেখার ঝুঁকি নিতে নারাজ রাজ্য পুলিস। আর তাই তড়িঘড়ি মুখে ছোট ঘটনা বললেও সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিয়ে দিয়েছে স্বরাষ্ট্র দফতর। ডাকা হয়েছে কেন্দ্রীয় ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদেরও। কারণ, পিংলার এই চেন্নাই যোগ পুলিস কর্তাদের কপালেও ভাঁজ ফেলেছে। আপাত নিরীহ বাজি কারখানার আড়ালেই কি তৈরি হচ্ছিল কোনও বড় ষড়যন্ত্রের ব্লু প্রিন্ট?