হোম কাণ্ডের সিবিআই চাইল হাইকোর্ট

হোম থেকে নিখোঁজ আবাসিকদের সন্ধানে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। ৩ মাসের মধ্যে জমা দিতে হবে রিপোর্ট। অন্যদিকে গুড়িয়া কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত শ্যামল ঘোষের ১০ দিনের পুলিসি হেফাজত দিল চুঁচুড়া আদালত। বুধবার পুলিসের জালে ধরা পড়ে শ্যামল।

Updated By: Jul 19, 2012, 05:07 PM IST

গুড়াপ কাণ্ডের জেরে সরকারি ও বেসরকারি হোমগুলির পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে রাজ্য মানবাধিকার কমিশনকে নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। গুড়িয়ামৃত্যু সহ রাজ্যের সরকারি-বেসরকারি হোমের দুরবস্থা, হোম থেকে নিখোঁজ হয়ে যাওয়া চল্লিশটি মেয়ের বিষয়ে হেবিয়াস কর্পাসে আবেদন জানানো হয়। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি জে এন পটেল এবং বিচারপতি কে এস আলুওয়ালিয়ার বিশেষ বেঞ্চে রাজ্যের সরকারি ও বেসরকারি হোমের দুরবস্থা এবং একইসঙ্গে ২০০৯-১০ সালের মধ্যে নিখোঁজ হয়ে যাওয়া চল্লিশটি মেয়ের খোঁজ দেওয়ার জন্য হেবিয়াস কর্পাসে মামলা দায়ের হয় । আবেদনকারী আইনজীবী অভিযোগ করেন, একটি বেসরকারি হোম থেকে দুহাজার নয় সালের উনত্রিশে অক্টোবর নিখোঁজ হয়ে যায় তেরোজন মেয়ে এবং সরকারি হোম থেকে নিখোঁজ হয় সাতাশজন  মেয়ে। সিআইডি জানিয়েছিল তারা তদন্ত করছে  এবং খোঁজ পাওয়া গেছে দুজন মেয়ের। কিন্তু বৃহস্পতিবার আদালতে ওই দুজন সম্পর্কে কোনও তথ্যই জমা দিতে পারেনি সিআইডি। এই বিষয়ে তদন্তের দায়িত্ব সিবিআইকে দেয় প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। তিনমাসের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে হবে কলকাতা হাইকোর্টে। 
অন্যদিকে গুড়িয়া কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত শ্যামল ঘোষের ১০ দিনের পুলিসি হেফাজত দিল চুঁচুড়া আদালত। বুধবার পুলিসের জালে ধরা পড়ে শ্যামল। বুধবার রাতে খেজুরদহের ভবানীপুর গ্রামে নিজের বাড়ি থেকেই তাকে গ্রেফতার করে পুলিস। পোশাক ও টাকা নিয়ে বরাবরের মতো পালানোর পরিকল্পনা ছিল শ্যামলের। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ফাঁদ পাতে গুড়াপ থানা এবং সিআইডির গোয়েন্দারা। আচমকাই বাড়িতে হানা দিয়ে তাকে ধরে পুলিস।
গত ১১ জুলাই `চব্বিশ ঘণ্টা` হুগলির ধনেখালির খেজুরদহ গ্রামের দুলাল স্মৃতি সংসদ হোমের বাসিন্দা গুড়িয়ার মৃত্যু রহস্য ফাঁস করার পর থেকেই ফেরার ছিল শ্যামল। সকালবেলা বাড়ি থেকে হাটে সবজি বিক্রি করতে গিয়েছিল সে। তারপর থেকেই গা ঢাকা দেয় শ্যামল। বন্ধ করে দেয় নিজের মোবাইল ফোন। এতদিন ধরে বিভিন্ন আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে শ্যামল গা ঢাকা দিয়েছিল বলে পুলিস সূত্রে খবর। রাতভর গুড়াপ থানাতে তাকে জেরা করা হয়। হোমের সেক্রেটারি উদয়চাঁদ কুমার, অ্যাম্বুলেন্স চালক সোমনাথ রায়, কলমিস্ত্রি সন্দীপ দাস এবং স্থানীয় বাসিন্দা রঞ্জিতের মতো শ্যামলকেও নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করতে চায় সিআইডি। শ্যামলের বিরুদ্ধে গুড়িয়াকে হত্যা এবং তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগ আনা হয়েছে।

.