বর্ধমানকাণ্ড: ধর্মপ্রতিষ্ঠানের ডোবার জলে বিস্ফোরক থাকার সম্ভাবনা
জঙ্গিযোগের তথ্যপ্রমাণ পেতে বর্ধমানের ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সংলগ্ন ডোবায় তল্লাসি শুরু করল NIA। ইতিমধ্যেই ওই ডোবার জল ছাঁচা শুরু হয়েছে। ডোবায় বিস্ফোরক থাকার সম্ভবনা রয়েছে। তাই জাল ফেলার ঝুঁকি নিচ্ছেন না তদন্তকারীরা। বরং পুকুরের জল শুকিয়ে ফেলে তারপর খুঁজে দেখার ওপরেই জোর দেওয়া হচ্ছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সংলগ্ন বড় পুকুরটিতেও এরপর তল্লাসি চালানো হবে।
বর্ধমান: জঙ্গিযোগের তথ্যপ্রমাণ পেতে বর্ধমানের ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সংলগ্ন ডোবায় তল্লাসি শুরু করল NIA। ইতিমধ্যেই ওই ডোবার জল ছাঁচা শুরু হয়েছে। ডোবায় বিস্ফোরক থাকার সম্ভবনা রয়েছে। তাই জাল ফেলার ঝুঁকি নিচ্ছেন না তদন্তকারীরা। বরং পুকুরের জল শুকিয়ে ফেলে তারপর খুঁজে দেখার ওপরেই জোর দেওয়া হচ্ছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সংলগ্ন বড় পুকুরটিতেও এরপর তল্লাসি চালানো হবে।
বিস্ফোরণের সময় খাগড়াগড়ের গ্রেনেড কারখানার বাইরের কেউ ছিল কি? এই প্রশ্নের উত্তর পেতেই, বিস্ফোরণস্থল থেকে রক্তের নমুনা সংগ্রহ করতে শুরু করল NIA-র ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা। দোসরা অক্টোবরের ওই বিস্ফোরণে শাকিল গাজি ও সুভান মণ্ডলের মৃত্যু হয়। আহত হয় আবুল হাকিম। অর্থাত্ ওই ঘরে মোট তিনজনের রক্তের নমুনা থাকা উচিত। এর বাইরে কারোর রক্তের নমুনা মিললে তা মিলিয়ে দেখা হবে আলিমা বিবি ও রাজিয়া বিবির রক্তের সঙ্গে। শিশুদুটির রক্তও পরীক্ষা করা হবে। যদি, তার বাইরেও কারও রক্তের নমুনা মেলে তাহলে তদন্তকারীরা নিশ্চিত হয়ে যাবেন বিস্ফোরণের সময় ওই বাড়িতে এমন কেউ ছিলেন যিনি পালাতে সক্ষম হয়েছেন।
বর্ধমান বিস্ফোরণের তদন্তে মুর্শিদাবাদের বেলডাঙ্গায় NIA-তদন্তকারীদের একটি দল। খাগড়াগড় বিস্ফোরণের বহু যোগসূত্রই মিলেছে বেলডাঙা থেকে। খাগড়াগড়ের গ্রেনেড কারখানার তৈরি বোমা, বেলডাঙা সীমান্ত দিয়েই বাংলাদেশে পাচার হত বলে জেনেছেন তদন্তকারীরা। বেলডাঙারই একটি স্কুলে পড়ল শাকিল গাজির পাঁচ বছরের ছেলে। কিন্তু, গত ছাব্বিশে অগাস্ট থেকে তার খোঁজ মেলেনি। নিখোঁজ শাকিল গাজির বড় মেয়েরও। জঙ্গি মডিউলের রহস্যভেদে ওই দুই শিশুর থেকেও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলতে পারে বলে মনে করছেন NIA তদন্তকারীরা। সবদিক খতিয়ে দেখতে আজ বেলডাঙ্গায় তিন সদস্যের NIA টিম।