পুজোর ফুর্তির টাকা জোগাতে ভাইকে অপহরণ করল দাদা

পুজোর সময় টাকা দরকার। হাত খালি। কী করা যায়? টাকা জোগাড় করতে খুড়তুতো ভাইকে অপহরণ করল দাদা। অবশেষে পুলিশের ভয়ে মুক্তিপণের টাকা না নিয়েই ভাইকে ফেরত দিল। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। ধরা পড়ল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র ও তার শাগরেদ। ঘটনা বর্ধমানের বুদবুদের।  

Updated By: Oct 5, 2013, 10:48 AM IST

পুজোর সময় টাকা দরকার। হাত খালি। কী করা যায়? টাকা জোগাড় করতে খুড়তুতো ভাইকে অপহরণ করল দাদা। অবশেষে পুলিশের ভয়ে মুক্তিপণের টাকা না নিয়েই ভাইকে ফেরত দিল। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। ধরা পড়ল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র ও তার শাগরেদ। ঘটনা বর্ধমানের বুদবুদের।  
বুদবুদের কোটা গ্রামের কৃষ্ণদয়াল কর্মকারের ছেলে সায়ক কর্মকার অপহৃত হয় পয়লা অক্টোবর। ক্লাস সিক্সের সায়ক টিউশন থেকে ফেরার সময় তাকে তুলে নিয়ে যায় দুজন। 
অপহরণের দিনই সন্ধেয় বাড়িতে মুক্তিপণ চেয়ে ফোন আসে। পুলিসে খবর দেয় সায়কের পরিবার। এক দিন পর ফের ফোন, যত টাকা জোগাড় হয়েছে তাই দিয়েই যেন সায়ককে নিয়ে যান বাড়ির লোকেরা। কথা মত বর্ধমানে যান সায়কের বাবা কৃষ্ণদয়াল কর্মকার। কিন্তু কেউ টাকা নিতে আসেনি।
সায়ককে বাসে চাপিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এরই মধ্যে মোবাইলের সূত্র ধরে দুষ্কৃতীদের অবস্থান চিহ্নিত করে ফেলে পুলিস। গ্রেফতার করা হয়, সায়কের খুড়তুতো দাদা, ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র রুদ্রনাথ কর্মকার ও মোবাইল দোকানের মালিক পাপ্পু বিশ্বাসকে। তাদের জেরা করে পুলিস জানতে পারে পুজোয় ফুর্তির টাকা জোগাড় করতেই ভাইকে অপহরণ করেছিল রুদ্র।
জেরায় রুদ্র জানিয়েছে, সায়ককে অপহরণ করে  পানাগাড়ে ভাড়া বাড়িতে রাখা হয়। সায়কের বাড়ির লোকেরা পুলিসে খবর দিয়েছে বুঝতে পেরেই তারা টাকা আনতে বর্ধমানে যায়নি।

.