প্রতিবাদের মঞ্চের যবনিকা টেনে আন্দোলনকে আক্রমণ জ্যোতিপ্রিয়র
কামদুনির গল্প শেষ হয়ে গেছে। আর প্রতিবাদী মঞ্চ? তারও যবনিকা পতন। এই শব্দ, এই ভাষাতেই আন্দোলনকারীদের আক্রমণ জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের। মৃতার পরিবার এখন সরকারের পাশে। তাই কি গোটা আন্দোলনেরই "দি এন্ড" বলতে দু-বার ভাবতে হল না মন্ত্রীকে? নির্যাতিতা এখনও বিচার পাননি। তার আগেই কী করে শেষ হয়ে গেল গল্প? উঠছে সেই প্রশ্ন।
কামদুনির গল্প শেষ হয়ে গেছে। আর প্রতিবাদী মঞ্চ? তারও যবনিকা পতন। এই শব্দ, এই ভাষাতেই আন্দোলনকারীদের আক্রমণ জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের। মৃতার পরিবার এখন সরকারের পাশে। তাই কি গোটা আন্দোলনেরই "দি এন্ড" বলতে দু-বার ভাবতে হল না মন্ত্রীকে? নির্যাতিতা এখনও বিচার পাননি। তার আগেই কী করে শেষ হয়ে গেল গল্প? উঠছে সেই প্রশ্ন।
দোষীদের শাস্তির কথাও কি তাহলে ভাবা যায় না? প্রশ্ন, কামদুনির প্রতিবাদীদের। কিন্তু আজ কোথায় প্রতিবাদ? তা দমানোর চেষ্টার অভিযোগ ইতিমধ্যেই উঠতে শুরু করেছে। কামদুনি প্রতিবাদী মঞ্চের সভাপতি ভাস্কর মণ্ডলের বাড়িতে চলেছে পুলিসি তল্লাসি। সন্ত্রস্ত গ্রামের অন্যান্যরা।
মৃতার জন্য বিচার চাইতে, দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবিতে যে টুম্পা, মৌসুমিরা প্রতিবাদে সামিল হয়েছিলেন, আজ তাঁরাই কটাক্ষের শিকার। কামদুনির মৃতা তরুণীর পরিবার গ্রাম ছেড়েছে। মন্ত্রীর অবশ্য দাবি, দুদিনের মধ্যেই তাঁরা ফিরে আসবে গ্রামে। কারণ, শাসকদলের কর্মসূচিতে যোগ দিতে হবে তো!
কামদুনিকাণ্ডের বিচারের দাবিতে একসময় পথে নেমেছিলেন কবি শঙ্ঘ ঘোষ। সেই আন্দোলন এভাবে শেষ হয়ে যাবে না। মৃতার পরিবার পাশ থেকে সরে গেলেও হতাশ হওয়ার কিছু নেই। বলছেন কবি। কিন্তু সন্দিহান কামদুনি। মৃতার পরিবারের অবস্থান বদল, গ্রামে পুলিসি অভিযান..এসবের পর আন্দোলন কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে? মন্ত্রীর কথাই কি ঠিক? এখানেই শেষ কামদুনির আন্দোলন? দোষীদের শাস্তি, নির্যাতিতার জন্য সুবিচারের আগেই?