সুচেতার বিধাননগরের বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার দেহাংশ, খুনের পেছনে তৃতীয় কোনও মহিলার যোগ!

দুর্গাপুরে মা মেয়ে খুনের ঘটনায় নিহত সুচেতা চক্রবর্তীর বিধাননগরের বাড়ির পেছনের সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার হল দেহাংশ। আজ ওই বাড়িতে যায় ফরেন্সিক টিম। নিয়ে যাওয়া হয় সমরেশ সরকারকেও। তাকে দেখা মাত্রই শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন উত্তেজিত জনতা।

Updated By: Sep 1, 2015, 09:17 PM IST
সুচেতার বিধাননগরের বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার দেহাংশ, খুনের পেছনে তৃতীয় কোনও মহিলার যোগ!

ওয়েব ডেস্ক: দুর্গাপুরে মা মেয়ে খুনের ঘটনায় নিহত সুচেতা চক্রবর্তীর বিধাননগরের বাড়ির পেছনের সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার হল দেহাংশ। আজ ওই বাড়িতে যায় ফরেন্সিক টিম। নিয়ে যাওয়া হয় সমরেশ সরকারকেও। তাকে দেখা মাত্রই শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন উত্তেজিত জনতা।

দুর্গাপুরে জোড়া খুনের ঘটনায় মিলল নতুন তথ্য। মা-মেয়েকে খুনের পর তাদের দেহাংশ ফেলা হয়েছিল সুচেতার আবাসনের পিছনের সেপটিক ট্যাঙ্কেও । এদিন তল্লাসিতে উদ্ধার হয়েছে ওই দেহাংশ। মঙ্গলবার  দুপুরে ওই বাড়িতে যান ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা।  দুপুর আড়াইটে নাগাদ দুই সদস্যের একটি দল পৌছয় বিধাননগরে সুচেতার ফ্ল্যাটে। এর প্রায় আধঘণ্টা পর ওই বাড়িতে নিয়ে যাওয়া সমরেশ সরকারকেও। তাকে সঙ্গে নিয়েই বাড়িতে তল্লাসি চালান গোয়েন্দারা। বাড়ির চৌবাচ্চা থেকে উদ্ধার হয় বঁটি, চপার ও দুটো গামছা। তল্লাসি চলাকালীন সমরেশ আরও একবার স্বীকার করে নেয়, খুনের পর গামছা দিয়ে রক্তের দাগ মোছার পর ফিনাইল ঢালা হয়।  গন্ধ যাতে না ছড়ায় সেজন্য চালানো হয়েছিল ফ্যানও। এদিন প্রতিবেশী দুই যুবককে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারীরা। সমরেশকে নিয়ে বাড়ির সামনে পৌছতেই জমে যায় ভিড়। অভিযুক্তের উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানিয়ে শুরু হয় বিক্ষোভ।

অন্যদিকে, মা-মেয়ে খুনের পেছনে তৃতীয় কোনও মহিলার যোগ থাকার কথাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না তদন্তকারীরা।  খুনে অভিযুক্ত সমরেশ সরকারের সঙ্গে একাধিক মহিলার সম্পর্ক ছিল বলে জানতে পেরেছে পুলিস। সমরেশের  সহকর্মী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের দেওয়া বয়ানে জানা গেছে, মধ্যবয়সী এক মহিলা ও তাঁর তরুণী মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল সমরেশের। যদিও তাঁদের আত্মীয় বলেই পরিচয় দিতেন তিনি।

.