দুর্নীতির কর্কট রোগ বিশ্বভারতীর অলিন্দে!

ছাত্রীর যৌন নিগ্রহের পর দুর্নীতি ও আর্থিক অনিয়ম। একের পর এক অভিযোগে জেরবার বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। এবার বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে নিয়োগে অনিয়ম ও আর্থিক তছরুপের অভিযোগ তুলেছেন বোলপুরের সাংসদ অনুপম হাজরা। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র ও বর্তমান অধ্যাপক। আর্থিক অনিয়মের জন্য তিনি দায়ী করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকেই। মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রীর কাছে উপযুক্ত ব্যবস্থার দাবিও জানিয়েছেন বোলপুরের সাংসদ। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখপাত্র সন্দীপ বসু সর্বাধিকারীর দাবি, সাংসদ কিছু না জেনেই অভিযোগ করেছেন।

Updated By: Aug 30, 2014, 03:03 PM IST
দুর্নীতির কর্কট রোগ বিশ্বভারতীর অলিন্দে!

বোলপুর: ছাত্রীর যৌন নিগ্রহের পর দুর্নীতি ও আর্থিক অনিয়ম। একের পর এক অভিযোগে জেরবার বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। এবার বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে নিয়োগে অনিয়ম ও আর্থিক তছরুপের অভিযোগ তুলেছেন বোলপুরের সাংসদ অনুপম হাজরা। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র ও বর্তমান অধ্যাপক। আর্থিক অনিয়মের জন্য তিনি দায়ী করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকেই। মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রীর কাছে উপযুক্ত ব্যবস্থার দাবিও জানিয়েছেন বোলপুরের সাংসদ। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখপাত্র সন্দীপ বসু সর্বাধিকারীর দাবি, সাংসদ কিছু না জেনেই অভিযোগ করেছেন।

গত কয়েকদিন ধরে রাজ্যের অন্যতম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে ছাত্রীর যৌন হেনস্থার অভিযোগ ওঠে।  ঘটনায় এফআইআরই করতেও বাধা দেওয়া হয়।  ছাত্রী ও ছাত্রীর বাবাকে বুঝিয়ে সুঝিয়ে পৌছে দেওয়া হল বোলপুর স্টেশনে। সকালেই ছাত্রীর বাবা অভিযোগ করেন, ঘটনা ধামাচাপা দিতে টাকা দিতে চেয়েছিল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।  আর বিকেলেই সম্পূর্ণ পাল্টে গেলেন ছাত্রীর বাবা। সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ না খুলে বোলপুর স্টেশন থেকে সিকিমের উদ্দেশে রওনা হলেন তিনি।

 যৌন হেনস্থার ঘটনা ধামাচাপা দিতে টাকা দিতে চেয়েছিল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। চাঞ্চল্যকর এই অভিযোগ সিকিম থেকে কলা ভবনে পড়তে আসা নিগৃহীতা ছাত্রীর বাবার। তিনি অভিযোগ  করেছিলেন, পুলিসের কাছে মুখ না খুলতেও তাঁকে চাপ দিয়েছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। নিরাপত্তাহীনতায় তাই বিশ্বভারতী ছাড়ছেন কলা ভবনের ওই ছাত্রী। গত আটই অগাস্ট শান্তিনিকেতন পোস্ট অফিস মোড় থেকে একটি গাড়িতে তুলে ওই ছাত্রীকে যৌন হেনস্থা করে সিনিয়র তিন ছাত্র। ছাত্রীর আপত্তিকর ছবি তুলে শুরু হয় ব্ল্যাকমেল।  কর্তৃপক্ষকে জানানোর পরও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। উল্টে টাকা দিয়ে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে কর্তৃপক্ষ। অভিযোগ ছাত্রীর বাবার।

 

.