সিপিআইএম কর্মী খুনের প্রতিবাদে বন্‍ধ চলছে লিলুয়ায়

দোকানে ঢুকে এক সিপিএম কর্মীকে খুন করে পালাল দুষ্কৃতীরা। লিলুয়ার ঝিলরোডে গতকাল রাতে এই ঘটনা ঘটে। নিহত দিলীপ দত্ত বি রোডের বাসিন্দা ছিলেন।

Updated By: Nov 16, 2011, 10:25 AM IST

লিলুয়ায় সিপিআইএম কর্মী দিলীপ দত্তর খুনের প্রতিবাদে আজ ৭ নম্বর ওয়ার্ডে ১২ ঘণ্টা বনধের ডাক দিয়েছে স্থানীয় সিপিআইএম নেতৃত্ব। সকাল থেকেই ওই এলাকায় বনধ চললেও এখনও পর্যন্ত কোনও অশান্তির খবর আসেনি। বন্ধ রয়েছে দোকানপাট, কলকারখানা। দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে পুলিসের কাছে ডেপুটেশনও জমা দেওয়া হবে আজ।
মঙ্গলবার লিলুয়ার ঝিল রোডে সিপিআইএমের কর্মী দিলীপ দত্তকে কুপিয়ে খুন করে দুষ্কৃতীরা। পুলিসের আশ্বাস সত্ত্বেও এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কেউ আটক বা গ্রেফতার হয়নি। হাওড়া জেলা সিপিএম নেতৃত্ব গোটা ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেসকে দায়ী করেছেন। যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
খুনের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয় লিলুয়ার বি রোডের বাসিন্দা দিলীপ দত্ত আর পাঁচটা দিনের মতো মঙ্গলবার সন্ধেতেও ঝিলরোডে নিজের দোকানে গিয়েছিলেন। রাত সাড়ে আটটা নাগাদ জনা কয়েক দুষ্কৃতী দোকানে ঢুকে তাঁকে কোপাতে শুরু করে। আক্রান্ত দিলীপ দত্ত চিত্কার শুরু করতেই দুষ্কৃতীরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। হাওড়া জেলা হাসপাতালে মৃত্যু হয় দিলীপ দত্তের। স্বাভাবিক ভাবেই এই ঘটনায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় মানুষ। দিলীপ দত্ত দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় সক্রিয় সিপিআইএম কর্মী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তাঁর ছেলের অভিযোগ, রাজ্যে সরকার বদলের পর থেকেই তাঁর বাবাকে দল ছাড়ার জন্য হুমকি দেওয়া হোত। সিপিআইএমের হাওড়া জেলা সম্পাদক বিপ্লব মজুমদার জানিয়েছেন, দিলীপ দত্ত হনুমান জুটমিলে কর্মরত থাকাকালীন সিটুর কাজের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। রাজ্যে পরিবর্তনের পর হুমকির জেরে সেই চাকরিও ছাড়তে হয় দিলীপবাবুকে।

.