চরম অমানবিক ঘটনার সাক্ষী হল ক্যানিংয়ের মাতলা সেতু
চরম অমানবিক ঘটনার সাক্ষী হল ক্যানিংয়ের মাতলা সেতু। দুই অটোর রেষারেষিতে অটো থেকে পড়ে গেলেন দুই যাত্রী। ক্ষতবিক্ষত হয়ে যন্ত্রণায় কাতরাতে থাকা দুই যাত্রীকে উদ্ধারে এগিয়ে এলেন না সহযাত্রীরাও। দুই অটোচালকের সঙ্গে তারাও চম্পট দেয়। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা আহতদের উদ্ধার করেন। কিন্তু ততক্ষণে বড় দেরি হয়ে গেছে।ব্যস্ত রাস্তা। রাস্তার মধ্যে পড়ে রয়েছেন দুই রক্তাক্ত মানুষ। যন্ত্রনায় কাতরাচ্ছেন। কেউ ফিরে তাকায়নি। সবার যাওয়ার তাড়া। ক্যানিং-এর সকাল ফের আরও একবার প্রশ্ন তুলল তাহলে কি মনুষত্ব আর বেঁচে নেই ?
ওয়েব ডেস্ক: চরম অমানবিক ঘটনার সাক্ষী হল ক্যানিংয়ের মাতলা সেতু। দুই অটোর রেষারেষিতে অটো থেকে পড়ে গেলেন দুই যাত্রী। ক্ষতবিক্ষত হয়ে যন্ত্রণায় কাতরাতে থাকা দুই যাত্রীকে উদ্ধারে এগিয়ে এলেন না সহযাত্রীরাও। দুই অটোচালকের সঙ্গে তারাও চম্পট দেয়। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা আহতদের উদ্ধার করেন। কিন্তু ততক্ষণে বড় দেরি হয়ে গেছে।ব্যস্ত রাস্তা। রাস্তার মধ্যে পড়ে রয়েছেন দুই রক্তাক্ত মানুষ। যন্ত্রনায় কাতরাচ্ছেন। কেউ ফিরে তাকায়নি। সবার যাওয়ার তাড়া। ক্যানিং-এর সকাল ফের আরও একবার প্রশ্ন তুলল তাহলে কি মনুষত্ব আর বেঁচে নেই ?
আরও পড়ুন সবে মার্চ, এখন থেকেই জলে টান পড়েছে বাঁকুড়ায়
কলকাতায় কাজ। সকালে বেরিয়েছিলেন সেলিমা। বাসন্তির শিমুলতলায় অটোয় চেপেছিলেন। ক্যানিংয়ের অটোতে সবসময় বেজায় ভিড়। আটোতে তিন জন যাত্রী নেওয়ার কথা থাকলেও, আট জনের কমে অটো ছাড়েনা। অটো চালকের ডানদিকে বসেছিলেন সেলিমা, ছিলেন আরেকজন তার নাম হাশিবুর। মাতাল সেতুর কাছে আরেকটি অটোর সঙ্গে শুরু হয় রেষারেষি। আগে যাওয়ার তাড়ায় ধাক্কা লাগে দুই অটোর মধ্যে। অটো থেকে ছিটকে পড়েন সেলিমা ও হাশিবুর। অবস্থা বেগতিক বুঝে জখম যাত্রীদের ফেলেই চম্পট দেয় ২ অটোচালক। সহযাত্রী পরে গেছে। অথচ এগিয়ে আসেনি সহ যাত্রীরাও। প্রায় আধ ঘণ্টা রাস্তার মধ্যে পরে ছিলেন দুই জন। প্রায় আধঘণ্টা পর স্থানীয় কিছু মানুষ আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যান। তার আগে অবশ্য 100 ডায়াল করা হয়েছিল, কিন্তু লাভ হয়নি। হাসপাতালে সেলিমাকে মৃত ঘোষণা করে। জখম অন্য যাত্রীর অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁকে কলকাতায় ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে রেফার করতে হয়। যেখানে দুর্ঘটনা হয়েছিল সেখান থেকে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতাল মাত্র ১০ মিনিটের পথ। থানাও কাছে। দুর্ঘটনা সকালে হয়েছিল। সবাই দেখেছিল। কিন্তু কেউ গাড়ি থামিয়ে এগিয়ে আসেনি।সবার বড় তাড়া ছিল।