কাঁথি উপকূলে চুরি হয়ে যাচ্ছে একের পর এক ঝাউবন
পূর্ব মেদিনীপুরে বিপন্ন বাস্তুতন্ত্র। কাঁথি উপকূলে চুরি হয়ে যাচ্ছে একের পর এক ঝাউবন। শয়ে শয়ে গাছ কাটছে চোরেরা। গাছ লোপাট হয়ে যাওয়ায় শিথিল হচ্ছে মাটির বাঁধন। বাড়ছে সমুদ্রের ভাঙন। ক্রমশ এগিয়ে আসছে সমুদ্র।
ওয়েব ডেস্ক: পূর্ব মেদিনীপুরে বিপন্ন বাস্তুতন্ত্র। কাঁথি উপকূলে চুরি হয়ে যাচ্ছে একের পর এক ঝাউবন। শয়ে শয়ে গাছ কাটছে চোরেরা। গাছ লোপাট হয়ে যাওয়ায় শিথিল হচ্ছে মাটির বাঁধন। বাড়ছে সমুদ্রের ভাঙন। ক্রমশ এগিয়ে আসছে সমুদ্র।
মুখে কাপড় ঢাকা। হাতে কুড়ুল। দক্ষ হাতে দ্রুত গতিতে চলছে গাছ কাটা। নজর রাখার দায়িত্ব এলাকারই কয়েকজনের ওপর। পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি উপকূলে বনচুরির জমাটি কারবার। বিপন্ন বাস্তুতন্ত্র।
বাগুরান, জলপাই, হরিপুর, জুনপুটে অবাধে চলছে বনচুরি। মাইলের পর মাইল ঝাউবন কেটে লোপাট করে দিচ্ছে চোরেরা। এই অপারেশনে ব্যবহার করা হচ্ছে দক্ষ কাঠুরেদের। চোরাই কারবার। কিন্তু, কাজ হয় রীতিমতো পরিকল্পনা করে। গুছিয়ে। বিক্রির আগে জঙ্গল দেখানো হয় ক্রেতাকে।
বাগুইআটিতে প্রোমোটাররাজের অভিযোগ খোদ তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে
একাধিক ক্রেতা থাকলে নিলাম হয়। দরদস্তুরের পরেই জঙ্গল কাটতে নামে কাঠুরেরা। পুলিস বা বনকর্মী এলে সতর্ক করে দেয় স্থানীয় লিঙ্কম্যানরা। কাটা গাছ রাখা হয় ঝুপড়ির আড়ালে। তারপর রাতের অন্ধকারে সমুদ্র বা সড়কপথে পাচার হয় গাছ। সূত্রের খবর, এই গাছ চলে যায় ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা, নেপাল ও বাংলাদেশে।
কাঠ পাচার রুখতে উপকূলীয় বনরক্ষা কমিটি গড়েছে বনদফতর। বিভিন্ন জায়গায় নিয়োগ হয়েছে ওয়াচ ম্যান। যদিও তাদের সক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। বনভূমি লোপাট হয়ে যাওয়ায় প্রমাদ গুণছেন মত্স্যজীবীরা। সমুদ্র এগিয়ে এসে ধনেপ্রাণে শেষ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন তাঁরা। মত্স্যদফতরে অভিযোগ জানানো হয়েছে। অবিলম্বে বনচুরি বন্ধ না করা গেলে উপকূলের বাস্তুতন্ত্র বড়সড় বিপদের মুখে পড়বে। সতর্ক করে দিচ্ছেন পরিবেশ বিদরা।