ঠিকাদার হত্যায় তোলাবাজির অভিযোগ মানতে নারাজ শাসকদল
ঠিকাদার অসীম মুখার্জি হত্যায় তোলাবাজির অভিযোগ মানতে নারাজ শাসকদল। কিন্তু, ধৃত তৃণমূল নেতা কেদার পালের অতীত দিচ্ছে অন্য ইঙ্গিত। তোলাবাজি তো বটেই, কোলিয়ারি কর্মীদের বেতনের বখরা আদায়, গ্রাচ্যুইটির টাকা লুঠ থেকে হাজিরা খাতায় কারচুপি। কেদার পালের কীর্তি অনেক।
অণ্ডাল: ঠিকাদার অসীম মুখার্জি হত্যায় তোলাবাজির অভিযোগ মানতে নারাজ শাসকদল। কিন্তু, ধৃত তৃণমূল নেতা কেদার পালের অতীত দিচ্ছে অন্য ইঙ্গিত। তোলাবাজি তো বটেই, কোলিয়ারি কর্মীদের বেতনের বখরা আদায়, গ্রাচ্যুইটির টাকা লুঠ থেকে হাজিরা খাতায় কারচুপি। কেদার পালের কীর্তি অনেক।
চুক্তিতে যাই থাকুক। মাল সরবরাহের বরাত পেতে গুণতে হয় বাড়তি টাকা। খাদানে এটাই ওপেন সিক্রেট। কোনও বিল পাস করাতে খুশি করতে হয় অনেককেই। ঘুষের দুষ্টচক্র নাকি চলে এই পথে।
প্রথমে এজেন্ট, তারপর ক্লার্ক, তারপর ওভারশিয়ার এবং সব শেষে ক্যাশিয়ার। এর বাইরে থাকে দাদাগিরি। এবং সেখানেই আসে কেদার পালের মতো নেতাদের প্রসঙ্গ। কেদার পাল মেকানিক্যাল ফোরম্যান। তিনিই আবার কয়লা খাদান শ্রমিক কংগ্রেসের জেনারেল সেক্রেটারি। প্রচলিত নাম গুদামবাবু।
মেক্যানিকাল সরঞ্জামের বিল থেকে বখরা আসতই। এর বাইরেও ছিল রোজগার। টাকার বিনিময়ে অনুপস্থিত কর্মীকে উপস্থিত দেখিয়ে কমিশন নিতেন কেদার পাল। দেরিতে আসা কর্মীদের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম। তবে কমিশনের রেট আলাদা। কোলিয়ারি কর্মীদের বেতনের একটা অংশও নাকি কেদারকে দিতে হত। খনি থেকে কয়লার ট্রাক বের করতে টন প্রতি দিতে হয় কুড়ি টাকা। সে টাকা দেন ট্রান্সপোর্ট কোম্পানির মালিক।
অভিযোগ রয়েছে, কোলিয়ারি আবাসনে কর্মীদের ঘরভাড়ার ব্যবসা চালানোরও। এতো গেল কেদার পালের বর্তমান। তার অতীতও কম বিতর্কিত নয়। খনি এলাকায় সুদের কারবার চালানোর অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। অবসরপ্রাপ্ত এক কর্মীর গ্র্যাচুইটির আড়াই লক্ষ টাকা জোর করে ব্যাঙ্ক থেকে তুলে নেওয়ার। সেই মামলার জেলও খেটেছেন।