খরচ হয়নি, তাই কেন্দ্রে ফেরত্ যাচ্ছে আয়লায় ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ মেরামতের টাকা

খরচ করতে না পারার কারণে ফেরত যাচ্ছে আয়লায় ক্ষতিগ্রস্ত নদীবাঁধ তৈরির কেন্দ্রীয় তহবিলের টাকা। দুহাজার নয় সাল থেকেই কেন্দ্রের পাঠানো তিনশো একুশ কোটি টাকা এসে পড়েছিল রাজ্যের ভাঁড়ারে। কিন্তু এতবছরেও প্রয়োজনীয় জমি অধিগ্রহণ করেনি রাজ্য সরকার। তাই এবার ফেরত যাচ্ছে কেন্দ্রের টাকা। ফলে দ্বিতীয় পর্যায়ের টাকা পাওয়া তো দূর অস্ত, ফেরত যাচ্ছে প্রথম পর্যায়ের বরাদ্দ টাকাও।

Updated By: Feb 12, 2014, 11:17 PM IST

খরচ করতে না পারার কারণে ফেরত যাচ্ছে আয়লায় ক্ষতিগ্রস্ত নদীবাঁধ তৈরির কেন্দ্রীয় তহবিলের টাকা। দুহাজার নয় সাল থেকেই কেন্দ্রের পাঠানো তিনশো একুশ কোটি টাকা এসে পড়েছিল রাজ্যের ভাঁড়ারে। কিন্তু এতবছরেও প্রয়োজনীয় জমি অধিগ্রহণ করেনি রাজ্য সরকার। তাই এবার ফেরত যাচ্ছে কেন্দ্রের টাকা। ফলে দ্বিতীয় পর্যায়ের টাকা পাওয়া তো দূর অস্ত, ফেরত যাচ্ছে প্রথম পর্যায়ের বরাদ্দ টাকাও।

জমি অধিগ্রহণ ইস্যুতে মুখ থুবড়ে পড়ল রাজ্যের আয়লা বিধ্বস্ত এলাকায় কংক্রিটের নদীবাঁধ তৈরির কাজ। দুহাজার নয় সালে আয়লায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় এরাজ্যের সমুদ্র তীরবর্তি অঞ্চলের। আয়লা বিধ্বস্ত এলাকায় এক হাজার কিলোমিটার কংক্রিটের নদীবাঁধ তৈরির জন্য কেন্দ্রীয় বাজেটে তিন হাজার বত্রিশ কোটি টাকা মঞ্জুর করেন তত্কালীন অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখার্জি। প্রকল্পের জন্য কেন্দ্র পঁচাত্তর শতাংশ এবং রাজ্য পঁচিশ শতাংশ টাকা দেবে বলে স্থির হয়। এক হাজার কিলোমিটার কংক্রিটের নদীবাঁধ তৈরির জন্য প্রয়োজন ছিল ছয় হাজার একর জমি। প্রথম দফায় দুহাজার নয় দশ সালে রাজ্য সরকার একশো সাত কোটি টাকা দেয়। আর কেন্দ্রের কাছ থেকে আসে তিনশো একুশ কোটি টাকা।

বাম আমলে চোদ্দোশো একর জমি অধিগ্রহণ হলেও রাজ্যে পালাবদলের পর এক ইঞ্চি জমিও নেয়নি তৃণমূলের সরকার। এখনও পর্যন্ত বাঁধও হয়েছে মাত্র কুড়ি কিলোমিটার এলাকায়। তাও স্রেফ মাটির বাঁধ। নিজেদের একশো সাত কোটি কিম্বা কেন্দ্রের তিনশো একুশ কোটি টাকা, খরচ করতে পারেনি কিছুই। তাই দ্বিতীয় পর্যায়ে টাকা পাওয়া তো দুরস্ত, ফেরত যাচ্ছে কেন্দ্রীয় তহবিলের প্রথম দফায় পাওয়া তিনশো একুশ কোটি টাকা।

.