'গ্যাংস অফ হাজারিবাগ', পুলিসের সামনেই ৩০ রাউন্ড গুলি, মৃত্যু দুই
ফিল্মি কায়দায় রক্তাক্ত গ্যাং ওয়ারের সাক্ষী হল হাজারিবাগ আদালত। আদালত চত্বরেই একে ফর্টি সেভেন নিয়ে এলোপাথারি গুলি চলল। মৃত্যু দুই শাগরেদ সহ এক কুখ্যাত দুষ্কৃতীর।
ওয়েব ডেস্ক: ফিল্মি কায়দায় রক্তাক্ত গ্যাং ওয়ারের সাক্ষী হল হাজারিবাগ আদালত। আদালত চত্বরেই একে ফর্টি সেভেন নিয়ে এলোপাথারি গুলি চলল। মৃত্যু দুই শাগরেদ সহ এক কুখ্যাত দুষ্কৃতীর।
কোর্ট চত্বরে গ্যাং ওয়ার। সিনেমায় দেখা সেই সব লড়াইও যেন হার মানল হাজারিবাগে। রীতিমতো একে ফর্টি সেভেন হাতে কোর্ট চত্বরে ঢুকে পড়ল দুষ্কৃতী। চলল এলোপাথাড়ি গুলি।
মঙ্গলবার সকাল দশটা নাগাদ আদালতে নিয়ে আসা হচ্ছিল সুশীল শ্রীবাস্তবকে। তোলাবাজি খুনের অভিযোগে বছর পাঁচেক ধরেই বন্দি সুশীল। আদালত চত্বরে আগে থেকেই ঘাপটি মেরেছিল আততায়ীরা। পুলিস ভ্যান থেকে সুশীলকে নামানোর পরই শুরু হয় অ্যাকশন। বাইকের পিছনে বসে একে ফর্টি সেভেন রাইফেল থেকে এলোপাথাড়ি গুলি ছুঁড়তে থাকে এক দুষ্কৃতী। সুশীলের সঙ্গেই গুলি খেয়ে লুটিয়ে পড়ে তার দুই সহযোগী। জখম এক পুলিস কনস্টেবল সহ তিন জন।
ঘটনাস্থল থেকে একে ফর্টি সেভেন রাইফেলটি উদ্ধার করেছে পুলিস।
আদালত চত্বরে পুলিসের সামনে একে ফর্টি সেভেন নিয়ে হামলায় ঝাড়খণ্ড পুলিসের শীর্ষ কর্তাদের কপালে ভাঁজ পড়েছে। পুলিসের সামনেই অন্তত তিরিশ রাউন্ড গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। গুলিতে নিহত সুশীল শ্রীবাস্তব এবং তাঁর সহযোগী পাঁচ বছর ধরে বন্দি। তোলাবাজির পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে আরেক দাগি অপরাধীকে খুনের অভিযোগও রয়েছে। পুলিসের অনুমান, দুই গ্যাঙের রেষারেষির জেরেই এই সংঘর্ষ। পুলিস ঘটনার তদন্তে নামলেও এখনও পর্যন্ত কাউকে ধরতে পারেনি।