সোনারপুর গণধর্ষণকাণ্ডে ধৃত ২, এখনও ফেরার তৃণমূলকর্মীর ছেলে
সোনারপুর গণধর্ষণকাণ্ডে দুজন পুলিসের জালে এলেও, একজন এখনও ফেরার। অভিযুক্ত নাবালকের বাবা এলাকায় সক্রিয় তৃণমূলকর্মী হিসেবে পরিচিত। গত ২৭ তারিখ সুজয় চ্যাটার্জির বাড়িতে কিশোরী প্রথমবার তিনজনের হাতে গণধর্ষণের শিকার হন। অভিযোগ, সুজয় চ্যাটার্জি, সুজিত সর্দারের সঙ্গে ওই দলে এক নাবালকও ছিল।
ওয়েব ডেস্ক: সোনারপুর গণধর্ষণকাণ্ডে দুজন পুলিসের জালে এলেও, একজন এখনও ফেরার। অভিযুক্ত নাবালকের বাবা এলাকায় সক্রিয় তৃণমূলকর্মী হিসেবে পরিচিত। গত ২৭ তারিখ সুজয় চ্যাটার্জির বাড়িতে কিশোরী প্রথমবার তিনজনের হাতে গণধর্ষণের শিকার হন। অভিযোগ, সুজয় চ্যাটার্জি, সুজিত সর্দারের সঙ্গে ওই দলে এক নাবালকও ছিল।
নেপালে ও বিহারে ওই নাবালকের পরিবারের আত্মীয় রয়েছে। পুলিসের অনুমান, ওই দুই জায়গার একটিতে গা ঢাকা দিতে পারে সে। প্রশ্ন উঠেছে, বাবা তৃণমূল নেতা হওয়ার কারণেই কি এখনও অধরা ছেলে?
মহানগরের বুকে এবার দফায় দফায় গণধর্ষণের শিকার হয় অষ্টম শ্রেণির এই ছাত্রী। অভিযোগ, মোবাইলে ধর্ষণের ছবি তুলে তা ফাঁস করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে ফের ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করা হয়। সোনারপুর থানা এলাকার গড়িয়ার মহামায়াপুরে এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
গত মাসের ২৭ তারিখ স্কুলে যাওয়ার পথে নিগৃহীতাকে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করে তিন দুষ্কৃতী। মোবাইলে এই নারকীয় ঘটনার ভিডিও তুলে রাখে তারা। মুখ খুললে এই ভিডিও ফাঁস করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে ২৮ জানুয়ারি ফের গণধর্ষণ করা হয় কিশোরীকে। ২৮ তারিখ অভিযুক্ত ৩জনের সঙ্গে যোগ দেয় আরও একজন। গতকাল অবশেষে পুলিসের কাছে অভিযোগ দায়ের করে নির্যাতীতা। তার অভিযোগের ভিত্তিতে দু'জনকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিস। গ্রেফতার হওয়া দুই দুষ্কতীর নাম সুজয় চ্যাটার্জি ও সুরজিৎ সরদার। ধৃতদের আজই আদালতে পেশ করছে পুলিস। খোঁজ চলছে বাকি দুই অভিযুক্তরও।