Sri Lanka PM Wickremesinghe: এবার বিদায় নিতে চান শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী
গোতাবায়ার কারণেই রনিল বিক্রমসিঙ্ঘে প্রধানমন্ত্রী হন। পদে আসীন হয়েই শ্রীলঙ্কার সংকট সমাধানের প্রতিশ্রুতিও দেন। কিন্তু তিনি ক্রমশ দেখেন যে, বিক্ষোভকারীরা দেশটির রাজনীতির আমূল পরিবর্তন চাইছেন।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ট্যাক্স, বিভিন্ন প্রকল্পে বিনিয়োগ এবং কোভিড পরিস্থিতির সূত্রে শ্রীলঙ্কায় কয়েক মাস ধরেই গুরুতর অর্থনৈতিক সংকট চলছে। মার্চ মাস থেকেই শ্রীলঙ্কার মানুষ রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিও জানিয়েছেন। সদ্য বিক্ষোভ আরও ভয়াবহ হয়ে ওঠে। সেই বিক্ষোভের মুখে বাসভবন ছেড়ে পালিয়েছেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে। আর এই পরিস্থিতিতেই রনিল বিক্রমসিঙ্ঘে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলেই জানা গিয়েছে। তাঁর তরফে বলা হয়েছে, সব দলের অংশগ্রহণে সরকার গঠন করতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
শ্রীলঙ্কায় অর্থনৈতিক সংকটের কারণে দেশজুড়ে বিক্ষোভের মুখে গত মে মাসে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষের ভাই প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষে। এরপর রনিল বিক্রমাসিঙ্ঘেকে প্রধানমন্ত্রী করেন গোতাবায়া। তবে বিক্ষোভকারীরা তাঁকে মেনে নেননি। আবার শ্রীলঙ্কার বিরোধী বেশ কিছু দলও রনিলকে প্রধানমন্ত্রী পদে নিয়োগের বিরুদ্ধে ছিল।
যদিও গোতাবায়ার কারণেই রনিল প্রধানমন্ত্রী থাকেন। পদে আসীন হয়েই দেশটির চলতি সংকট সমাধানের প্রতিশ্রুতি দেন রনিল। কিন্তু বিক্ষোভকারীরা দেশটির রাজনীতির আমূল পরিবর্তন চাইছেন। রনিলের নেতৃত্বে নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করার পরও বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছিলেন শ্রীলঙ্কার জনগণ। বিক্ষোভকারীদের অন্যতম দাবি, গোতাবায়াকেও পদত্যাগ করতে হবে। কিন্তু তিনি পদত্যাগ না করায় বিক্ষোভ আরও জোরালো হয়। এই পরিস্থিতির মুখে বাসভবন ছেড়ে পালান গোতাবায়া।
আর এর পরেই জরুরি বৈঠকে বসে যান রনিল বিক্রমসিঙ্ঘে। সব দলকে এই বৈঠকে ডেকেছিলেন তিনি। যদিও বৈঠকে যোগ দেননি দেশটির অন্যতম বিরোধী দল সামাজি জানা বালাওয়েগায়ায়ের (এসজেবি) নেতারা। বৈঠকের পরেই শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সব দলের অংশগ্রহণে সরকার গঠনের লক্ষ্যেই পদত্যাগ করবেন রনিল।
আরও পড়ুন: Sri Lanka: মুখে 'গোটা গো হোম' স্লোগাান, প্রেসিডেন্টের সুইমিং পুলে বিক্ষোভীদের ভিড়