Sri Lanka: প্রেসিডেন্ট পদ ছাড়ছেন Gotabaya Rajapakse? কী জানালেন তিনি
রাজধানীতে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদন: অর্থনৈতিক সংকটে জর্জরিত শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে পদত্যাগ করতে অস্বিকার করেছেন। তিনি বলেন, পদত্যাগ কোনও সমস্যার সমাধান নয়। যদিও তিনি চলতি সপ্তাহে নতুন প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভা নিয়োগ করবেন। এর পাশাপাশি দেশে সাংবিধানিক সংস্কারও করা হবে বলে জানা গেছে।
জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে গোতাবায়া রাজাপক্ষে বলেন, দেশে নতুন প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভা নিয়োগের পর সংবিধানের ১৯তম সংশোধনী প্রস্তাব পেশ করা হবে। এই সংশোধনীর মাধ্যমে সংসদকে আরও বেশি ক্ষমতা দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
গোতাবায়া তাঁর ভাষণে বলেন, তিনি একটি যুব মন্ত্রিসভা নিয়োগ করবেন। তিনি আরও বলেন যে এই মন্ত্রিসভায় রাজাপক্ষে পরিবারের কোনও সদস্য থাকবে না এবং নতুন সরকারের প্রধানমন্ত্রীকে নতুন কর্মসূচি উপস্থাপন করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে।
এই সপ্তাহের শুরুতে হওয়া হিংসার ঘটনার কথা উল্লেখ করে গোতাবায়া রাজাপক্ষে বলেছিলেন যে ৯ মে যে ঘটনা ঘটেছে তা দুর্ভাগ্যজনক। এই ঘটনাকে সমর্থন করা যায় না বলেও জানিয়েছেন তিনি। যারা হিংসা ছড়িয়েছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইন প্রয়োগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে শ্রীলঙ্কার পুলিস ও সামরিক বাহিনীকে।
দেশকে অরাজক পরিস্থিতির হাত থেকে বাঁচানোর জন্য রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছেন তিনি। তার ভাষণের কয়েক মিনিট আগে গোতাবায়া প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রানিল বিক্রমাসিংহের সঙ্গে আলোচনা করেন। অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব তিনি নিতে পারেন বলেও মনে করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করা মাহিন্দা রাজাপক্ষে তার পরিবারের সঙ্গে একটি নৌ-ঘাঁটিতে আশ্রয় নিয়েছেন বলে জানা গেছে। প্রেসিডেন্টের বড় ভাই ও প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষের পদত্যাগের পর গত দুদিন ধরে দেশে কোনও সরকার নেই। যদিও সাংবিধানিকভাবে রাষ্ট্রপতির কাছে মন্ত্রিসভা ছাড়াই দেশ পরিচালনার ক্ষমতা রয়েছে।
আরও পড়ুন: Salvador Dali: দালি লুভরে না গিয়ে তাঁর কাছে এসেছেন শুনে পিকাসো বললেন, আপনি একদম ঠিক কাজটি করেছেন!
প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সচিব কমল গুনরত্নে বলেছেন যে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষেকে ত্রিনকোমালির নৌ-ঘাঁটিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। রাজধানীতে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। কলম্বো এবং শহরতলিতে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনীর বিশেষ বাহিনীও মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।