হউলা গণহত্যার জের, সিরীয় কূটনীতিকদের বহিষ্কারের পালা শুরু

সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের পক্ষে ক্রমশই প্রতিকূল হয়ে উঠছে পরিস্থিতি। হউলায় গণহত্যা হত্যাযজ্ঞের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ায় সিরীয় কূটনীতিকদের বহিষ্কার করেছে একের পর এক দেশ।

Updated By: May 30, 2012, 11:06 AM IST

সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের পক্ষে ক্রমশই প্রতিকূল হয়ে উঠছে পরিস্থিতি। হউলায় গণহত্যা হত্যাযজ্ঞের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ায় সিরীয় কূটনীতিকদের বহিষ্কার করেছে একের পর এক দেশ।
আমেরিকা, ব্রিটেন, জার্মানি, ইতালি, স্পেন এবং কানাডার পর এবার ফ্রান্স ও অস্ট্রেলিয়া তাদের রাজধানী থেকে সিরীয় কূটনীতিকদের বহিষ্কার করেছে। একই পদক্ষেপ নিচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত অন্যান্য দেশগুলোও। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলান্দ জানিয়েছেন, মিত্রদেশগুলোর সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়ার বিদেশমন্ত্রী বব কার বলেছেন, হউলার গণহত্যার ঘটনায় গিলার্ড সরকার মর্মাহত। প্রেসিডেন্ট সিরীয় কূটনীতিকদের বহিষ্কার করা হচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রসঙ্ঘের অবস্থানও রক্তচাপ বাড়িয়েছে দামাস্কাসের একনায়ক বাশার আল আসাদের। সিরিয়ার হউলা শহরে গত শুক্রবার প্রেসিডেন্টের অনুগত মিলিশিয়া বাহিনী যেভাবে বিনা বিচারে নির্মমভাবে ১০৮ জন বিরোধী সমর্থককে হত্যা করেছে তার তীব্র সমালোচনা করেছে রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদ। রাষ্ট্রসঙ্ঘের শান্তিরক্ষী বাহিনীর কর্ণধার হার্ভে ল্যাডসাসের অভিযোগ, আসাদ অনুগত বাহিনী ভারী অস্ত্র নিয়ে নারী-শিশু নির্বিশেষে হউলায় বিরোধী সমর্থকদের উপর আঘাত হেনেছে।

যদিও এর পরও গণতন্ত্রকামী বিরোধী সমর্থকদের উপর আক্রমণে বিরত হয়নি আসাদ অনুগত সেনা ও মিলিশিয়া বাহিনী। নতুন করে বিরোধীদের শক্ত ঘাঁটি হামা শহরে সরকারি বাহিনীর বোমা বর্ষণে বেশ কিছু মানুষ হতাহত হয়েছেন। তাত্পর্যপূর্ণভাবে আরব মুলুকের মুসলিম দেশগুলিও রক্তপাত এড়াতে গদি ছাড়ার পরামর্শ দিয়েছে আসাদ। এমতাবস্থায় সিরিয়ায় শান্তি ফেরানোর চেষ্টায় প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের সঙ্গে মঙ্গলবার বৈঠক করেন রাষ্ট্রসঙ্ঘ-আরব লিগ দূত কোফি আন্নান। বৈঠকের আগে মিডিয়ার মুখোমুখি হয়ে, সিরিয়া পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন রাষ্ট্রসঙ্ঘের প্রাক্তন মহাসচিব। আরব লিগ সূত্রে খবর, যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ায় ৬ সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি বজায় বলবত রাখার বিষয়ে কথা হয় তাঁদের দু`জনের মধ্যে।

.