মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬২৩, মিশরের হিংসা পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে বসছে রাষ্ট্রসঙ্ঘ
মিশরের হিংসা পরিস্থিতি নিয়ে এবার জরুরি অধিবেশনে বসতে চলেছে রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদ। ইতিমধ্যেই মিশরের সঙ্গে যৌথ সামরিক মহড়া বাতিল করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। গত কয়েকদিনের হিংসায় মিশরে ৬২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। যদিও, মুসলিম ব্রাদারহুডের দাবি, মৃতের সংখ্যা ২০০০ ছাড়িয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে রাতে কার্ফু জারি করেছে প্রশাসন।চেষ্টা করেও নেভানো যাচ্ছে না মিশরের হিংসার আগুন।
মিশরের হিংসা পরিস্থিতি নিয়ে এবার জরুরি অধিবেশনে বসতে চলেছে রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদ। ইতিমধ্যেই মিশরের সঙ্গে যৌথ সামরিক মহড়া বাতিল করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। গত কয়েকদিনের হিংসায় মিশরে ৬২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। যদিও, মুসলিম ব্রাদারহুডের দাবি, মৃতের সংখ্যা ২০০০ ছাড়িয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে রাতে কার্ফু জারি করেছে প্রশাসন।চেষ্টা করেও নেভানো যাচ্ছে না মিশরের হিংসার আগুন।
গদি হারিয়েছেন মুরসি। দেড়মাস আগের সেনা অভ্যুত্থানের সেই ছবিটাই যেন ফিরে এসেছে কায়রোর বুকে। শুধু পাল্টে গিয়েছে কুশীলবরা। এবার বিক্ষোভের লাগাম মুসলিম ব্রাদারহুডের হাতে। প্রেসিডেন্ট পদে ফিরিয়ে আনতে হবে মুরসিকে। এই দাবিতেই গত কয়েকদিন ধরে উত্তাল মিশর। মুরসি অনুগামীদের সঙ্গে বিদ্রোহীদের দফায় দফায় সংঘর্ষে অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছিল কায়রো।
পরিস্থিতি শোচনীয় হয়েছে বুধবার। মুরসি সমর্থকদের শিবিরগুলি গুঁড়িয়ে দিয়েছে সেনা। মুরসি অনুগামীদের ছত্রভঙ্গ করতে নির্বিচারে কাঁদানে গ্যাস ও গুলি ছোঁড়ে তারা। এরপরই আর ঠেকানো যায়নি হিংসা। একের পর এক সরকারি দফতরে লাগানো হয়েছে আগুন। কায়রোর একাধিক জায়গায় চলেছে হত্যালীলা। হিংসায় এতো মানুষের মৃত্যু হয়েছে যে গণ সত্কারের বন্দোবস্ত করতে হয়েছে প্রশাসনকে। কিন্তু, কোনওভাবেই লাগাম পরানো যাচ্ছে না হিংসায়। রাতে নতুন করে সংঘর্ষ হয়েছে আলেকজান্দ্রিয়ায়। কোন পথে যেতে চলেছে মিশরের পরিস্থিতি? উদ্বিগ্ন রাষ্ট্রসঙ্ঘ জরুরি অধিবেশন ডেকেছে। নিরাপত্তা পরিষদের রুদ্ধদ্বার অধিবেশনে মিশর পরিস্থিতি নিয়ে কাটাছেঁড়া হবে। ইতিমধ্যেই অবশ্য মিশরের সঙ্গে যৌথ সামরিক মহড়া বাতিল করে দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
বিশ্বজুড়ে সমালোচনার ঝড়। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের পাশপাশি ইরান, কাতার এবং তুরস্কও মিশরের অন্তর্বর্তী সরকারের নিন্দায় সরব হয়েছে। বলপ্রয়োগ না, রাজনৈতিক সমাধানের পক্ষেই সওয়াল করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। চাপে পড়ে রাতেই জরুরি বৈঠকে বসে মিশরের অন্তর্বর্তী সরকার। আপাতত রাত্রীকালীন কার্ফু জারি করে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছে হাজেম বেবলাউই সরকার।