হাত-ধোয়া বছরে আজই বিশ্ব হাত-ধোয়া দিবস!
এ বার এ হাত-ধোয়া দিবসের প্রতিপাদ্য,'সবার জন্য হাতের স্বাস্থ্যবিধি'।
নিজস্ব প্রতিবেদন: এ বছরটা বিশ্ববাসীর হাত ধুয়ে-ধুয়েই গেল। এর মধ্যে আজই আবার 'বিশ্ব হাত-ধোয়া দিবস'। প্রসঙ্গত, এ বার এ হাত-ধোয়া দিবসের প্রতিপাদ্য, 'সবার জন্য হাতের স্বাস্থ্যবিধি'।
করোনার সঙ্গে লড়তে গিয়ে ভালো করে সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার কথাই সবার আগে আলোচিত হয়েছিল। এবং সচেতন মানুষ তা রীতিমতো শুরুও করে দিয়েছিলেন। অবশ্য শুধু করোনা ভাইরাস রোধেই নয় জ্বর, ডায়েরিয়ার মতো রোগের ক্ষেত্রেও হাত-ধোয়ার কার্যকরী ভূমিকা আছে। যদিও নিয়ম মেনে সাবান-জল দিয়ে বার বার হাত ধোয়ার ক্ষেত্রে দরিদ্র মানুষের আর্থিক সামর্থ্যের বিষয়টিও অনেক সময়ে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। ভালো করে সাবান দিয়ে হাত ধুলে ৩০-৪৮ ভাগ পর্যন্ত বিভিন্ন সংক্রামক রোগ কমানো সম্ভব।
আমরা অনেক সময়েই হাত দিয়ে চোখ, নাক-মুখ স্পর্শ করি। হাত অপরিষ্কার থাকলে এমন স্পর্শের মাধ্যমে দেহে জীবাণু ঢুকতে পারে। তাই কিছু সময় পর-পর সাবান-জলে হাত ধুয়ে নিলে যে কোনও ভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কাই কমিয়ে আনা সম্ভব।
এ সব তথ্য আমরা জানতাম। কিন্তু তত গায়ে মাখতাম না। এ বছরের শুরুতেই করোনার প্রকোপ আমাদের ঘাড়ে ধরে হাত ধোয়া শিখিয়েছে।
আমেরিকার 'সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনে'র (সিডিসি) তথ্য অনুযায়ী, এমন ধরনের হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে, যাতে কমপক্ষে ৬০ শতাংশ ইথাইল অ্যালকোহল থাকে। এ বছরের বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস উপলক্ষে 'গ্লোবাল হ্যান্ড ওয়াশিং ডট অরগ' কিছু তথ্য প্রকাশ করেছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, পৃথিবীর প্রায় অর্ধেক, অর্থাৎ ৩০০ কোটি মানুষ সাবান-জল দিয়ে হাত ধোয়ার আওতার বাইরে। পাশাপাশি, বিশ্ব ব্যাঙ্কের ওয়েবসাইট থেকে জানা যাচ্ছে, প্রায় ৯০ কোটি শিশু স্কুলে হাত ধোয়ার প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম থেকে বঞ্চিত।
আরও পড়ুন: ছিলাম, আছি, থাকব; মাগো কুৎসা, অপপ্রচার থেকে মুক্তি দাও: মমতা