Bangladesh: অন্তর্বর্তী সরকারের ৩ মাস পার, বদলের বাংলাদেশে ভোট কবে? চলছে জল্পনা..
Bangladesh: জানুয়ারিতে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি তুলেছেন বাংলাদেশে প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি। যদি তা না করা হয়, সেক্ষেত্রে রাজপথে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছে খালেদা জিয়ার দল। বিএনপি-র সহযোগী দলগুলিও চাইছে, 'নির্বাচনের প্রশ্ন অবস্থান স্পষ্ট করুন সরকার'।
সেলিম রেজা, ঢাকা: ৩ মাস পার। বাংলাদেশে এখন অন্তর্বর্তী সরকার। ভোট কবে? শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত সরকার যখন রাষ্ট্রব্যবস্থার সংস্কার ও গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে, ভোটের জন্য় চাপও বাড়ছে। সংস্কারে আপত্তি নেই। রাজনৈতিক দলগুলির মতে, ভোট ও সংস্কারের একসঙ্গে চলুক। কারণ, নির্বাচনী কার্যকলাপ শুরু না হলে সরকারের প্রতি মানুষের আস্থা কমবে।
আরও পড়ুন: Bangladesh Unrest: কলকাতা দখলের কথা বলছে কেউ, এবার বাংলা-বিহার-ওড়িশা দাবি করে বসলেন বিএনপি নেতা
জানুয়ারিতে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি তুলেছেন বাংলাদেশে প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি। যদি তা না করা হয়, সেক্ষেত্রে রাজপথে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছে খালেদা জিয়ার দল। বিএনপি-র সহযোগী দলগুলিও চাইছে, 'নির্বাচনের প্রশ্ন অবস্থান স্পষ্ট করুন সরকার'। সরকারের পাল্টা দাবি, , নির্বাচন আয়োজনেই গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। নির্বাচন কমিশন গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। অল্প সময়ের মধ্যেই এই কমিশন গঠন হবে। নতুন কমিশন আসলে নির্বাচনী প্রক্রিয়াও দৃশ্যমান হবে।
এদিকে রাজনৈতিক মহলের মতে, , তিন মাস কোনও সরকারের মূল্যায়নের জন্য যথেষ্ট সময় নয়। তবে যেহেতু এটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং নির্বাচিত নয়, তাই তাদের একটি নির্ধারিত রোডম্যাপও থাকা উচিত। যাতে নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করা যায়। বস্তুত, দায়িত্ব নেওয়ার পর বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। তাতে যেমন সমর্থন করছে রাজনৈতিক দলগুলি, তেমনি আবার কিছু ক্ষেত্রে বিতর্কও দানা বেঁধেছে।
যেমন, দেশের আর্থিক অবস্থায় উন্নয়ন। এখনও পর্যন্ত সরকারি উদ্যোগের তেমন কোনও কার্যকারিতা দেখা যায়নি। নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যে দাম নিয়ন্ত্রণ সরকার শুক্ল-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ছাড় দিলেও, পরিস্থিতি কিন্তু নিয়ন্ত্রণে আসেনি। চলতি খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার ১২ শতাংশের ঘরে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিও পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি। যদিও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সেনাবাহিনীর সদস্যরা সারা বাংলাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করে যাচ্ছে। বিশ্লেষকরা কেউ কেউ সরকারের পরিধি বা উপদেষ্টার সংখ্যা বাড়ানোর কথা বললেও সরকার এমন কোনো উদ্যোগ নেয়নি। বলা হচ্ছে, একজন উপদেষ্টা একাধিক দপ্তর সামলানোর কারণে শৃঙ্খলা ফেরাতে সময় লাগছে।
বাংলাদেশের বিতর্কিত সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিলের নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এই আইনটি বাতিলের জোরালো দাবি তুলেছিলেন সাংবাদিকরা। সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পক্ষের সকলেই। উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে কর্মরতদের তিন মাসের কাজের রিপোর্ট চেয়েছেন উপদেষ্টা ড. মুহম্মদ ইউনূস। এর মধ্যে ব্যাংক ও আর্থিক খাত নিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ব্যাংকগুলোতে সংস্কার আনা হচ্ছে। পরিচালনা পর্ষদে পরিবর্তন এসেছে। তবে এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি বাজার পরিস্থিতি। সরকার অনেক পণ্যের আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার করেছে বা কমিয়েছে। কিন্তু দামে পরিবর্তন হচ্ছে না খুব একটা। নিত্যপণ্যের দাম কমানো ও বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের আরও জোরালো উদ্যোগ চাইছে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)