বাংলাদেশে সর্বদলীয় সরকারের তদারকিতে ভোটপর্ব মেটাতে উদ্যোগী শেখ হাসিনা

সর্বদলীয় সরকারের তদারকিতে ভোটপর্ব মেটাতে আর এক ধাপ এগোলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্যরা আজ ইস্তফা দিয়েছেন। সর্বদলীয় সরকার গঠনের লক্ষে আওয়ামি লিগের এই পদক্ষেপের সমালোচনা করেছে বিরোধী বিএনপি। নির্দলীয় সরকার গঠন না করে ভোট হলে তা মানা হবে না বলে গতকাল ফের জানিয়েছে তারা।

Updated By: Nov 12, 2013, 12:05 PM IST

সর্বদলীয় সরকারের তদারকিতে ভোটপর্ব মেটাতে আর এক ধাপ এগোলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্যরা আজ ইস্তফা দিয়েছেন। সর্বদলীয় সরকার গঠনের লক্ষে আওয়ামি লিগের এই পদক্ষেপের সমালোচনা করেছে
বিরোধী বিএনপি। নির্দলীয় সরকার গঠন না করে ভোট হলে তা মানা হবে না বলে গতকাল ফের জানিয়েছে তারা।
শেখ হাসিনা চাইছেন ভোট হোক সর্বদলীয় সরকারের তদারকিতে। কিন্তু, বিরোধী নেত্রী খালেদা জিয়া অরাজনৈতিক, নির্দলীয় সরকারের তত্ত্বাবধানে ভোট করার পক্ষে। দুপক্ষই অনড় থাকায় পঁচিশে জানুয়ারি সাধারণ নির্বাচনের আগে বাংলাদেশে তৈরি হয়েছে অচলাবস্থা। পরিস্থিতি এরকম থাকলে ভোটগ্রহণ আদৌ সম্ভব হবে কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে
সর্বদলীয় সরকার গঠনের লক্ষ্যে সোমবার মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করলেন আওয়ামি লিগের মন্ত্রীরা। ৫২ জন মন্ত্রী পদত্যাগ করলেও তাঁদের ইস্তফা গ্রহণ করেননি শেখ হাসিনা। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, সর্বদলীয় সরকারে তিনি যাঁদের রাখতে চান, সেইসব মন্ত্রীদের ইস্তফা গ্রহণ করা হবে না।
বাকিদের পদত্যাগ পত্র পাঠিয়ে দেওয়া হবে রাষ্ট্রপতির কাছে।
তবে, সর্বদলীয় সরকারের তদারকিতে ভোট করার চেষ্টা হলে তা মানা হবে না বলে ফের জানিয়েছেন বিএনপি। সোমবারও দলের তরফে হাসিনার পদত্যাগ ও অরাজনৈতিক সরকার গঠনের পক্ষে সওয়াল করা হয়েছে।
যদিও, বাংলাদেশের আইনজ্ঞ মহলের একাংশের মতে সংবিধানে অরাজনৈতিক সরকার গঠনের কোনও সংস্থান নেই।
 
নির্দলীয় সরকার গঠনে সরকারকে চাপ দিতে বিএনপি-র ডাকা চুরাশি ঘণ্টার বনধে সোমবারও বিপর্যস্ত হয়েছে বাংলাদেশের জনজীবন।
 
বিএনপি-জামাত সহ সতেরো দলের জোটের ডাকা হরতালের মধ্যেই রবিবার আক্রান্ত হয় চট্টগ্রামের ভারতীয় দূতাবাস। ভারতের অ্যাসিস্ট্যান্ট হাই কমিশনের কার্যালয়ে হাতে তৈরি বোমা ছুঁড়ে পালায় দুষ্কৃতীরা।
 
 

.