চারবিজ্ঞানীর উলটপুরাণ, বিশ্বউষ্ণায়ন রোধে পরমাণু বিদ্যুতের জয়গান করলেন চারমূর্তি

চারমূর্তির উলটপুরাণে শোরগোল সারা বিশ্বে। গ্লোবাল ওয়ার্মিং রুখতে পরমাণু বিদ্যুতের দাবি করছেন তাঁরা। অতীতে ওই চার বিজ্ঞানীই পরমাণবিক শক্তির কড়া বিরোধিতা করেছেন। সুর বদলে তাঁরাই এখন বলছেন,জীবাশ্ম জ্বালানীর ওপর মানুষের অতিরিক্ত নির্ভরতা কমাতে হবে। না হলে দূষণের হাত থেকে বাঁচানো যাবে না পৃথিবীকে।

Updated By: Nov 12, 2013, 11:58 AM IST

চারমূর্তির উলটপুরাণে শোরগোল সারা বিশ্বে। গ্লোবাল ওয়ার্মিং রুখতে পরমাণু বিদ্যুতের দাবি করছেন তাঁরা। অতীতে ওই চার বিজ্ঞানীই পরমাণবিক শক্তির কড়া বিরোধিতা করেছেন। সুর বদলে তাঁরাই এখন বলছেন,জীবাশ্ম জ্বালানীর ওপর মানুষের অতিরিক্ত নির্ভরতা কমাতে হবে। না হলে দূষণের হাত থেকে বাঁচানো যাবে না পৃথিবীকে।
বিশ্বের তামাম রাষ্ট্রপ্রধানকে খোলা চিঠি পাঠিয়েছেন ওঁরা। ওরা মানে স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্নেগি ইনস্টিটিউশন ফর সায়েন্সের কেনেথ ক্যালডেইরা , কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের জেমস হ্যানসেন,ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির কেরি ইমানুয়েল এবং অ্যাডিলেড বিশ্ববিদ্যালয়ের টম উইগলি। চিঠির মর্মার্থ : ভূ উষ্ণায়ন গতি কমানো এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। না হলে পৃথিবীকে বাঁচানো যাবে না। এবং তার জন্য জোর দিতে হবে পরমাণু বিদ্যুতের উপরে।
চার বিজ্ঞানীর খোলা চিঠিতেই লুকিয়ে রয়েছে পরিবেশের সবচেয়ে বড় ধাঁধা। গত পাঁচ দশক ধরে পরমাণবিক জ্বালানীর বিরোধিতা করে আসছে পরিবেশবিদ এবং বিজ্ঞানীদের একাংশ।
১৯৭০ এবং ১৯৮০তে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের ঠাণ্ডা লড়াই ছিল তুঙ্গে। বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা ছিল যে কোনও ছুতোয় পরমাণু যুদ্ধ বেঁধে যাবে দুই রাষ্ট্রে। ১৯৬৯ সালে পেনসিলভেনিয়ার লং মাইল আইল্যান্ডের পরমাণু কেন্দ্রে দুর্ঘটনা হয়। বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে তেজস্ক্রিয়তা। ১৯৮৬ সালে সালে ঘটেছে চেরনোবিল বিপর্যয়। তেজস্ক্রিয় ছাই মিশে যায় ইউক্রেন, রাশিয়া, বেলারুস এবং পশ্চিম ইউরোপের বায়ুমন্ডলে। সুনামির ছোবলে জাপানের ফুকুশিমা দাইচি পরমাণু কেন্দ্রের মর্মান্তিক পরিণতি তো গোটা বিশ্বই দেখেছে। এতসব উদাহরণেও আর মত বদলাচ্ছেন না চার বিজ্ঞানী । 
ফুকুশিমার বিপর্যয়ের পর জল এবং বাতাসে মিশেছে বিপুল পরিমাণে তেজস্ক্রিয় বর্জ্য। নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যেতে হয়েছে প্রায় ১ লক্ষ ৬০ হাজার নাগরিককে। বিজ্ঞানীদের দাবি,পরমাণু বিদ্যুত থেকে পরিবেশ দূষিত হয় না । গ্লোবাল ওয়ার্মিং রুখতে যা অত্যন্ত জরুরি। সৌর বা বায়ুশক্তি, আধুনিক সভ্যতার চাহিদা মেটাতে পারবে না। তাই পরমাণু জ্বালানীই ভরসা। এই মুহূর্তে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে প্রায় সত্তরটি পরমাণু চুল্লির নির্মাণকাজ চলছে। বিজ্ঞানের চারমূর্তির দাবি,দুর্ঘটনা হয় বলে কি কেউ বিমানে চড়ে না। সুরক্ষিত পরমাণু কেন্দ্র গড়ে জ্বালানীর সমস্যা মেটাতে চাইছেন তাঁরা।

.