পেরুতে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরে গেল ছটি সিন্ধুঘোটক

উদ্ধার হয়েছিল জুন-জুলাই মাসে। প্রায় দুমাস ধরে চলেছে চিকিত্সা। এবার ফিরল ঘরে। পেরুর পালমিনো দ্বীপের কাছে জলে ছেড়ে দেওয়া হল উদ্ধার হওয়া ছটি সিন্ধুঘোটককে। এরকমটা এই প্রথমবার ঘটল পেরুতে।

Updated By: Sep 28, 2013, 11:35 AM IST

উদ্ধার হয়েছিল জুন-জুলাই মাসে। প্রায় দুমাস ধরে চলেছে চিকিত্সা। এবার ফিরল ঘরে। পেরুর পালমিনো দ্বীপের কাছে জলে ছেড়ে দেওয়া হল উদ্ধার হওয়া ছটি সিন্ধুঘোটককে। এরকমটা এই প্রথমবার ঘটল পেরুতে।
কারও বুকের পাঁজর ভেঙে গিয়েছে। কারও আঘাত লেগেছে চোখে। আর সেই অবস্থাতেই উদ্ধার হয়েছে এই সিন্ধুঘোটকগুলি। নতুন কিছু না। প্রতিবছরই মাছ ধরার পিক সিজনে মতস্যজীবীদের জালে ধরা পড়ে এই প্রাণীগুলি। অনেকক্ষেত্রেই মেরে ফেলা হয় ওদের। এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তা হয় শুধুমাত্র চামড়ার লোভে।
গত জুন-জুলাই মাসে পেরুর সৈকতে অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করা হয়েছে এই ছটি সমুদ্র সিংহকে। এগুলিকেই চিকিত্সার পর ছেড়ে দেওয়া হল পালোমিনো দ্বীপের কাছে। আর পেরুতে এরকমটা ঘটল এই প্রথমবার। শুধু চোরাশিকারি না। মত্স্যজীবীদের উদাসীনতার কারণেও মৃত্যু হয় এই প্রাণীদের। কারণ, নির্ধারিত মাত্রার জাল ব্যবহার করেন না তারা। সিন্ধুঘোটক ধরা পড়লে তাদের যে ফের জলে ছেড়ে দেওয়া উচিত, সেটাও অনেকসময়েই মনে রাখেন না মত্স্যজীবীরা। আর তার জেরেই এখন ক্রমশ বিলুপ্তির পথে এই প্রজাতির প্রাণী। চলছে সংরক্ষণের চেষ্টাও। তবু, চোরাশিকারিদের হাত থেকে যে কোনওভাবেই সমুদ্র সিংহদের রক্ষা করা যাচ্ছে না, তারই আরও একবার প্রমাণ মিলল পেরুতে।

Tags:
.