শ্রীলঙ্কার সংসদে দু’পক্ষের মারামারি; মাটিতে ফেলে মার, স্পিকারকে ছোড়া হল বোতল
স্পিকার জয়সূর্য বরাবরই বলে আসছেন, যেখানে সরকার নেই সেখানে প্রধানমন্ত্রী থাকেন কীভাবে
নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিংহেকে সরিয়ে সেই পদ থেকে মহিন্দ্রা রাজাপক্ষকে আনা হলেও শেষরক্ষা হল না। ধ্বনিভোটে হেরে যাওয়ার দায় চাপল স্পিকারের ওপরে। তারই প্রতিবাদে এবার খণ্ডযুদ্ধ বাধল খোদ সংসদে। স্পিকারকে বই, জলের বোতল ছুড়ে মারলেন সাংসদরা।
আরও পড়ুন-ধর্ষণ করে খুন? ৫ দিনের মাথায় নিখোঁজ নাবালিকার দেহ ভেসে উঠল পুকুরে
সম্প্রতি শ্রীলঙ্কায় প্রধানমন্ত্রী রাজাপক্ষেকে সরিয়ে দেন স্পিকার ধ্বনিভোটার মাধ্যমে সরিয়ে দেন স্পিকার। এতেই প্রবল ক্ষুব্ধ রাজাপক্ষের সমর্থক সাংসদরা। বৃহস্পতিবার তাঁরা স্পিকারকে ঘিরে ধরে এক প্রতিবাদ করেন। তাঁদের দাবি দেশের প্রধানমন্ত্রীকে ধ্বনিভোটের মাধ্যমে সরিয়ে দেওয়া যায় না। পাল্টা বিক্ষোভ দেখান প্রেসিডেন্ট সিরিসেনার সমর্থকরাও। এতেই তুলকালাম শ্রীলঙ্কা সংসদ।
এদিকে স্পিকার জয়সূর্য বরাবরই বলে আসছেন, যেখানে সরকার নেই সেখানে প্রধানমন্ত্রী থাকেন কীভাবে। অন্যদিকে রাজাপক্ষের সমর্থকদের দাবি, কোনও প্রধানমন্ত্রীকে এভাবে নির্বাচন না করে সরিয়ে দেওয়া কোনও অধিকার কোনও স্পিকারের নেই। তবে এখন বড় প্রশ্ন দেশের প্রধানমন্ত্রী কে?
এদিন রাজাপক্ষে বলেন, একসময় দেশের প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি ছিলাম। ফলে প্রধানমন্ত্রীর পদ আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়। সংসদের ২২৫ সদস্যের কাছে আবেদন, নতুনভাবে নির্বাচনের জন্য দাবি তুলুন।
আরও পড়ুন-থুতুতে 'রঙিন' কলকাতা, পরিচ্ছন্নতা ফেরানোর পথ খুঁজতে বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী
এদিকে, নতুন নির্বাচনের দাবিতে একদিকে রাজাপক্ষের সমর্থকা যেমন স্পিকারকে ঘিরে ধরেন তেমনি এগিয়ে আসেন সিরিসেনার সমর্থরাও। দুপক্ষের মধ্যে মারামারি বেধে যায়। একে অপরকে ঘুঁসি মারেন, মাটিতে ফেলে পেটান। তোলপাড় হয় সংসদ ভবন। বাধ্য হয়েই সংসদের অধিবেশন মুলতুবি করে দিতে বাধ্য হন স্পিকার জয়সূর্য।