চিন থেকে লাইভ টিভিতে 'ভিক্ষা করছেন' পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী, দেখুন ভিডিও
চিনে আর্থিক সহযোগিতা চাইতে গিয়েছিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী।
নিজস্ব প্রতিবেদন: দেনার দায়ে হাত পাচ্ছে হচ্ছে পাকিস্তানকে। তা বলে নতুন পাক প্রধানমন্ত্রী 'ভিখারি' হয়ে গেলেন। এমনটাই হয়েছে পাকিস্তানি টিভি চ্যানেলর লাইভ অনুষ্ঠানে। তখন বেজিং থেকে সংবাদিক বৈঠক করছেন ইমরান খান, পাকিস্তান টেলিভিশন কর্পোরেশন বা পিটিভির স্ক্রিনে ডেটলাইনে ভেসে উঠল 'ভিখারি'। তাত্পর্যপূর্ণভাবে চিনে আর্থিক সহযোগিতা চাইতে গিয়েছিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী।
চিন থেকে পিটিভি-র সেই অংশটির সম্প্রচার ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। চিনের বেজিংয়ে সেন্ট্রাল পার্টি স্কুলে একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছিলেন ইমরান। সেই বক্তব্যটি সরাসরি সম্প্রচার করছিল পিটিভি। তখনই স্থানের জায়গায় বেজিংয়ের বদলে লেখা যাচ্ছিল 'Begging' অর্থাত্ ভক্ষা।
PTI govt has started action against 5 PTV staff members for allegedly inserting a u-turn sign and typing 'Begging' at the location spot 4 live speech during a live address of the Prime Minister during his ongoing visit 2 China. Two staff have been taken off work immediately pic.twitter.com/vHcYsyXfx2
— Pakistan Media Watch (@PakPressWatch) November 4, 2018
অনেকেরই প্রশ্ন, বিষয়টি কি ইচ্ছাকৃতভাবেই করা হয়েছিল? কারণ, বেজিংয়ে গিয়ে তো আর্থিক সহযোগিতাই চেয়ে এসেছেন ইমরান খান। পিটিভি-র দাবি, লেখার ভুলে ২০ সেকেন্ড ওই শব্দটি স্ক্রিনে দেখা গিয়েছিল। এজন্য তারা দুঃখিত। জড়িত কর্মীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
Today, during a live address of the Prime Minister during his ongoing visit to China, a typographical error took place, which remained on screen for 20 seconds & later removed. This incident is regrettable. Strict action has been initiated under rules against concerned officials pic.twitter.com/df2Z8oib5u
— PTV News (@PTVNewsOfficial) November 4, 2018
দীর্ঘ কয়েক বছর ধরেই পাকিস্তানের অর্থনীতি বেহাল। ক্ষমতায় আসার পর প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের মোষগুলি নিলাম করেন ইমরান।গত সাত মাসে ২০ শতাংশ অবমূল্যায়ন হয়েছে পাকিস্তানি রূপির। গত অর্থবর্ষে রাজকোষ ঘাটতি জিডিপি-র ৫.৮ শতাংশ। বাজেট ঘাটতি ২ ট্রিলিয়ন রূপি ছাড়িয়েছে। এহেন পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিল থেকে ধার নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসলামাবাদ। ১৯৮০ সালের পর থেকে এনিয়ে ১৩ দফা হাত পাততে চলেছে পাকিস্তান।
আরও পড়ুন- পুরু বরফের চাদরে ঢাকা কেদারনাথেও শিবভক্তদের ঢল, দেখুন ভিডিও