Pakistan: সেনাপ্রধানকে কি সরিয়ে দিতে চেয়েছিলেন ইমরান? কী ঘটল নেপথ্যে?
পাকিস্তানের পার্লামেন্টের জাতীয় পরিষদে অনাস্থা ভোটে পরাজিত হওয়ার আগেও সাংবাদিকদের ইমরান বলেছিলেন, প্রতিরক্ষা বিভাগে কোনো ধরনের রদবদল আনার পরিকল্পনা তাঁর নেই।
নিজস্ব প্রতিবেদন: গতকাল রাতে প্রধানমন্ত্রিত্ব হারিয়েছেন ইমরান খান। রাত ১২টার দিকে অনাস্থা প্রস্তাবের উপর ভোটাভুটি শুরু হয়। কিছু সময় পরে ভোটের ফল ঘোষণা হয়। ইমরানের বিরুদ্ধে ভোট পড়ে ১৭৪টি। ৩৪২ আসনের জাতীয় পরিষদে প্রস্তাব পাসের জন্য দরকার ছিল ১৭২ ভোট।
আর্থিক দুরবস্থা ও ভুল পররাষ্ট্রনীতির অভিযোগে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিল বিরোধী দলগুলি। এই অনাস্থা প্রস্তাবকে 'অসাংবিধানিক' আখ্যা দিয়ে তা খারিজ করে দেন জাতীয় পরিষদের ডেপুটি স্পিকার কাসিম খান সুরি। ওই দিনই প্রধানমন্ত্রী ইমরানের পরামর্শে জাতীয় পরিষদ ভেঙে দেন প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি। আর এতেই চরম রাজনৈতিক সঙ্কটে পড়ে পাকিস্তান। বিরোধীরা আদালতের শরণাপন্ন হয়। এ অবস্থায় স্বতঃপ্রণোদিত নোটিস দেয় সুপ্রিম কোর্ট। টানা পাঁচ দিনের শুনানি শেষে অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ ও জাতীয় পরিষদ ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্তকে অসাংবিধানিক বলে ঘোষণা করে সর্বোচ্চ আদালত।
কিন্তু এ তো গেল বাইরের ঘটনা এবং গতিপ্রকৃতি। ভেতরে কি কোনও রহস্য ছিল?
শোনা যাচ্ছে, পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়াকে নাকি সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল ইমরানের। তবে শনিবার খবরে প্রকাশ, এ ধরনের কোনও পরিকল্পনাই ইমরানের ছিল না। ইমরান নিজেই সাংবাদিকদের বলেছেন, 'সেনাপ্রধানকে বরখাস্ত করা কিংবা এ সংক্রান্ত কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার ব্যাপারে কোনও কথাই হয়নি। আইন ও সংবিধানের সঙ্গে সংগতি রেখেই আমি আমার কাজ করে যাব।' পাকিস্তানের পার্লামেন্টের জাতীয় পরিষদে অনাস্থা ভোটে পরাজিত হওয়ার আগেও সাংবাদিকদের ইমরান বলেন, প্রতিরক্ষা বিভাগে কোনো ধরনের রদবদল আনার পরিকল্পনা তাঁর নেই।
আরও পড়ুন: Pakistan: অনাস্থায় হার, মধ্যরাতে ইসলামাবাদ ছাড়েলন ইমরান