সেনাবাহিনী অসাংবিধানিক আচরণ করেনি : গিলানি

প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানির সেনা বিরোধী মন্তব্যেই পাক সরকার ও সেনা সংঘাত শুরু হয়। যার জেরে কয়েক সপ্তাহ ধরেই সামরিক শাসনের জল্পনা তৈরি হয়েছে পাক রাজনীতিতে। এবার নিজের অবস্থান থেকে সরে গিয়ে সেই গিলানিই জানালেন, সেনাবাহিনী অসংবিধানিক আচরণ করেনি।

Updated By: Jan 25, 2012, 06:21 PM IST

প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানির সেনা বিরোধী মন্তব্যেই পাক সরকার ও সেনা সংঘাত শুরু হয়। যার জেরে কয়েক সপ্তাহ ধরেই সামরিক শাসনের জল্পনা তৈরি হয়েছে পাক রাজনীতিতে। এবার নিজের অবস্থান থেকে সরে গিয়ে সেই গিলানিই জানালেন, সেনাবাহিনী অসংবিধানিক আচরণ করেনি। বুধবার পাকিস্তানের একটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, গিলানি জানিয়েছেন, মেমোগেট নিয়ে সেনাপ্রধান আসফাক পারভেজ কায়ানি ও আইএসআই প্রধান জেনারেল সুজা পাশা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেও, তাঁরা গণতান্ত্রিক সরকারকে দোষারোপ করেননি। অতএব এক্ষেত্রে সাংবিধানিক বিধি লঙ্ঘন করা হয়নি। দেশের বর্তমান পরিস্থিতে সরকার ও সেনাবাহিনীর মধ্যে সংঘাত একেবারেই ঠিক নয় বলেও জানিয়েছে পাক প্রধানমন্ত্রী।
পাক সরকার ও সেনাবাহিনী সংঘাত শুরু মনসুর ইজাজ নামে এক পাক বংশোদ্ভুত মার্কিন শিল্পপতির ফাঁস করে দেওয়া মেমো নিয়ে। চলতি বছরের নভেম্বর মাসে মনসুর ইজাজের ফাঁস করে দেওয়া মেমোতে ফাঁস করে দেওয়া মেমো`তে প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি ও আমেরিকায় নিযুক্ত তত্‍কালীন পাক রাষ্ট্রদূত হুসেন হাক্কানির নাম জড়িয়ে যায়। ইজাজ দাবি করেন, মে মাসে হাক্কানির নির্দেশে তিনি একটি মেমো বানিয়ে মার্কিন সেনাপ্রধান মাইক মুলেনকে দিয়েছিলেন। সেই মেমোতে বলা হয়েছিল, গোপনে অভ্যুত্থানের ছক কষছে পাক সেনাবাহিনী। প্রেসিডেন্ট জারদারির নির্দেশে বানানো ওই মেমো`তে পাক সেনার সম্ভাব্য অভ্যুত্থান ঠেকাতে আফগানিস্তানে মোতায়েন মার্কিন সেনার সাহায্যও চাওয়া হয়।
হাক্কানি অবশ্য দাবি করেন, পাকিস্তানের সেনাবাহিনী ও সরকারের মধ্যে দুরত্ব তৈরি করতেই এই ভুয়ো স্মারকলিপির গল্প তৈরি করা হয়েছে। যদিও সেই সাফাইয়ে সন্তুষ্ট হননি জেনারেল কায়ানি। সেনাবাহিনীর চাপে ইস্তফা দিতে হয় হাক্কানিকে। তাঁর বিরুদ্ধে শুরু হয় মামলা। এর পাশাপাশি সেনাপ্রধান কায়ানির ঘনিষ্ঠ প্রতিরক্ষা সচিব লেফটেন্যান্ট জেনারেল নঈম খালিদ লোধিকে বরখাস্ত করে নার্গিস শেঠিকে নিযুক্ত করা হয়। গিলানি অভিযোগ করেন, সেনাবাহিনী অসাংবিধানিক আচরণ করছে। গিলানিকে কার্যত হুমকি দিয়ে পাক সেনাপ্রধান জানিয়ে দেন, এর পরিনাম ভালো হবে না। সরকার ও সেনাবাহিনী সংঘাত চরমে ওঠে।

.