মুম্বই সন্ত্রাস নিয়ে ইসলামাবাদকে দুষলেন কৃষ্ণ

এবার ২৬/১১ সন্ত্রাস নিয়ে ইসলামাবাদের সঙ্গে কূটনৈতিক সংঘাতের পথে হাঁটতে চলেছে মনমোহন সরকার। শুক্রবার এস এম কৃষ্ণর বিবৃতিতে তারই স্পষ্ট ইঙ্গিত মিলল। পাক প্রেসিডেন্ট আলি জারদারির ভারত সফরের প্রাকমুহূর্তে কার্যত আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলায় গিলানি সরকারের দায়বদ্ধতা নিয়েই প্রশ্ন তুললেন ভারতীয় বিদেশমন্ত্রী।

Updated By: Apr 6, 2012, 03:40 PM IST

এবার ২৬/১১ সন্ত্রাস নিয়ে ইসলামাবাদের সঙ্গে কূটনৈতিক সংঘাতের পথে হাঁটতে চলেছে মনমোহন সরকার। শুক্রবার এস এম কৃষ্ণর বিবৃতিতে তারই স্পষ্ট ইঙ্গিত মিলল। পাক প্রেসিডেন্ট আলি জারদারির ভারত সফরের প্রাকমুহূর্তে কার্যত আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলায় গিলানি সরকারের দায়বদ্ধতা নিয়েই প্রশ্ন তুললেন ভারতীয় বিদেশমন্ত্রী। সেই সঙ্গে তাঁর মন্তব্য, "মুম্বই সন্ত্রাসে সইদের ভূমিকার কথা কোনওভাবেই অস্বীকার করতে পারবে না পাকিস্তান"।
বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের তরফে জানান হয়েছিল, জামাত-উদ-দাওয়া প্রধান হাফিজ সইদের বিরুদ্ধে মুম্বই নাশকতার ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগ আনলেও কার্যক্ষেত্রে কোনও প্রমাণ পেশ করতে পারেনি নয়াদিল্লি। এদিন সরাসরি ইসলামাবাদের এই দাবি খারিজ করে কৃষ্ণ বলেছেন, মুম্বই সন্ত্রাসের মূল চক্রী সইদের বিরুদ্ধে একাধিক তথ্যপ্রমাণ সম্বলিত `ডশিয়ের` তুলে দেওয়ার পরও কার্যত নীরব রয়েছে গিলানি প্রশাসন। পাশাপাশি পাক প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রেজা গিলানি হাফিজ সইদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি ইস্যুটি তাঁদের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে যে মন্তব্য করেছিলেন, তারও সমালোচনা করেছেন কৃষ্ণ।

রবিবার পাক প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি ভারত সফরে এলে কি নয়াদিল্লির তরফে হাফিজ সইদ-বিতর্কের অবতারণা করা হবে? বিদেশমন্ত্রীর জবাব, "আমার পক্ষে সঠিকভাবে বলা সম্ভব নয়, তবে আলোচনার সম্ভাবনা আছে"। পাক সরকারের তরফে ২৬/১১ সন্ত্রাসের তদন্তের জন্য বিচারবিভাগীয় তদন্ত না হলে এ ব্যাপারে গিলানি ক্যাবিনেটের দায়বদ্ধতা সংক্রান্ত প্রশ্নের নিষ্পত্তি সম্ভব নয় বলেও জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার ২০০৮ সালের মুম্বই হামলার `মাস্টর মাইন্ড` হাফিজ সইদের মাথার দাম ১ কোটি মার্কিন ডলার (৫০ কোটি টাকা) ঘোষণা করে ওবামা প্রশাসন। লস্কর-ই-তৈবার প্রতিষ্ঠাতা হাফিজ সইদের পাশাপাশি তাঁর আত্মীয় এবং লস্করের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা আব্দুল রেহমান মাক্কির মাথার দাম ৩০ লক্ষ মার্কিন ডলার ঘোষিত হয়। মার্কিন উপবিদেশ সচিব ওয়েন্ডি শেরম্যান ভারত সফরে এসে আনুষ্ঠানিকভাবে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানোর পরই ওবামা সরকারের পদক্ষেপকে স্বাগত জানান বিদেশমন্ত্রী এসএম কৃষ্ণ।

.