সিরিয়ায় সামরিক অভিযানের সমর্থন জোটতে ইউরোপ পাড়ি ওবামার

সিরিয়ায় সামরিক অভিযানে সমর্থন জোটাতে ইউরোপ পাড়ি দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। কাল থেকে শুরু হচ্ছে জি টোয়েন্টি সম্মেলন। তার আগে সিরিয়া ইস্যুতে সুইডেন এবং রাশিয়ার জল মেপে নিতে চাইছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে সমর্থনের সুর আজও বজায় রেখেছে ব্রিটেন। এরই মধ্যে সিরিয়া ইস্যুতে আন্তর্জাতিক মহলে উত্তেজনা আরও বেড়েছে। ওবামা প্রশাসনের চাপ বাড়িয়ে ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে রণতরী পাঠিয়েছে রাশিয়া।

Updated By: Sep 4, 2013, 10:33 PM IST

সিরিয়ায় সামরিক অভিযানে সমর্থন জোটাতে ইউরোপ পাড়ি দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। কাল থেকে শুরু হচ্ছে জি টোয়েন্টি সম্মেলন। তার আগে সিরিয়া ইস্যুতে সুইডেন এবং রাশিয়ার জল মেপে নিতে চাইছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে সমর্থনের সুর আজও বজায় রেখেছে ব্রিটেন। এরই মধ্যে সিরিয়া ইস্যুতে আন্তর্জাতিক মহলে উত্তেজনা আরও বেড়েছে। ওবামা প্রশাসনের চাপ বাড়িয়ে ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে রণতরী পাঠিয়েছে রাশিয়া।
সিরিয়ায় সামরিক অভিযান নিয়ে ঘরের সমর্থন অনেকটা নিশ্চিত করে ফেলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। হাউস অফ রিপ্রেজেনটেটিভসের স্পিকার তথা রিপাবলিকান নেতা জন বোয়েনার সহ আরও দুই সদস্য সিরিয়া ইস্যুতে ওবামার পাশে থাকার কথা জানিয়ে দিয়েছেন। পায়ের তলার মাটি শক্ত হতেই বাইরের দুনিয়ার জনমত যাচাই করে নিতে চাইছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। জি টোয়েন্টি সম্মেলনের আগেই সুইডেন ও রাশিয়া সফরে পাড়ি দিয়েছেন বারাক ওবামা। সিরিয়ায় যুদ্ধ ঘোষণার সিদ্ধান্ত একপ্রকার পাকা করে ফেলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
সিরিয়ার বিরুদ্ধে সামরিক অভিযানের পক্ষেই সওয়াল করেছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। যুদ্ধের পথে না হাঁটলে সিরিয়ার সরকারি সেনা ফের রাসায়নিক অস্ত্র  হামলা চালাবে বলে  মন্তব্য করেছেন তিনি।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ব্রিটেনের চড়া সুরের মধ্যে পাল্টা চাপ বাড়িয়েছে রাশিয়া। সরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের সাক্ষাত্‍কারে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, সিরিয়ার সরকারি সেনার বিরুদ্ধে রাসায়নিক অস্ত্র প্রয়োগের অভিযোগ একেবারেই ভিত্তিহীন। বিদ্রোহীদের কোণঠাসা করার লড়াইতে সরকার যখন অনেকটাই সফল তখন এই ধরনের হামলা চালাতেই পারে না আসাদ সরকার। রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের প্রমাণ থাকলে তা রাষ্ট্রসংঘের হাতে তুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন পুতিন। এমনকী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে একহাত নিয়ে রাশিয়া বলেছে রাষ্ট্রসংঘের সমর্থন ছাড়া ওবামা প্রশাসন কোনও ধরনের সামরিক অভিযান চালালে তা হবে চরম আগ্রাসন। বাগ যুদ্ধের গণ্ডি পেরিয়ে রণতরী পাঠিয়েছে পুতিন প্রশাসন। ফলে ভূমধ্যসাগরে সিরিয়ার উপকূল এলাকায় উত্তেজনা আরও বেড়েছে। দিনকয়েকের মধ্যে ওই অঞ্চলে পৌঁছে যাবে রাশিয়ার যুদ্ধজাহাজ মস্কোভা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রাসী মনোভাবের সমালোচনা করেছেন ভারতে নিযুক্ত সিরিয়ার রাষ্ট্রদূত।
 
বৃহস্পতিবার থেকে  রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গে শুরু হচ্ছে জি টোয়েন্টি সম্মেলন। পুতিনের খাসতালুক বসে সিরিয়ায় সামরিক অভিযানের প্রস্তুতি পর্ব চূড়ান্ত করতে তত্‍পর হবেন বারাক ওবামা। পর্যবেক্ষকদের মতে আন্তর্জাতিক সম্মেলনের মঞ্চ এবার আবর্তিত হবে সিরিয়াকে ঘিরেই।

.