Kim Jong Un: এ হল সমাজতন্ত্রের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা, বন্ধ করুন আত্মহত্যা! কেন বললেন দোর্দণ্ডপ্রতাপ কিম?
North Korean leader Kim Jong Un: উত্তর কোরিয়ার ইনটেলিজেন্স বলেছে, সেদেশে আত্মহত্যাকারী মানুষের সংখ্যা গত বছরের তুলনায় অন্তত ৪০ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে! যা গভীর চিন্তা-উদ্রেককারী ঘটনা। চিন্তিত সে দেশের রাষ্ট্রনেতা কিম জন উনও। তিনি দেশবাসীকে আত্মহত্যা বন্ধ করতে নির্দেশ দিয়েছেন। বলেছেন, আত্মহত্যা হল সমাজতন্ত্রের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ঢের হয়েছে, আর নয়, এবার আত্মহত্যা বন্ধ করুন। আত্মহত্যা হল সমাজতন্ত্রের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা। দেশবাসীকে এ কথা বললেন, দোর্দণ্ডপ্রতাপ শাসক কিম জন উন। কেন বললেন? কারণ, তথ্য বলছে, সেদেশের আত্মহত্যাকারী মানুষের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। প্রকৃত সংখ্যাটা প্রকাশ করা হয়নি।
আরও পড়ুন: Australia: বাঁক নেওয়ার মুখেই ঘটে গেল বিপর্যয়! বরযাত্রীর বাস উল্টে মৃত ১০, আহত ২৫...
তবে উত্তর কোরিয়ার ইনটেলিজেন্স বলেছে, সেদেশে আত্মহত্যাকারী মানুষের সংখ্যা গত বছরের তুলনায় অন্তত ৪০ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে! যা গভীর চিন্তা-উদ্রেককারী ঘটনা। ফলে একরকম শাসকের দৃষ্টিকোণ থেকেই শাসানির সুরে দেশবাসীকে আত্মহত্যা না করতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি!
তবে এই নির্দেশ আচমকা আসেনি। বিষয়টি নিয়ে বহুদিন থেকেই প্রশাসনিক স্তরে আলোচনা-পর্যালোচনা হয়েছে। মিটিংয়ের পর মিটিং হয়েছে। তারপরই সর্বোচ্চ স্তর থেকে এই নির্দেশ এসেছে। ওই সব মিটিংগুলিতে দেশের প্রশাসনিক স্তর বাস্তবটা জেনে স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছেন। তাঁরা বলেছেন অনাহারের থেকেও সাংঘাতিক এই আত্মহত্যা। অনাহারে যত না মানুষ মরছেন, আত্মহত্যায় তার চেয়েও বেশি! উত্তর কোরিয়ার প্রশাসন ক্রমবর্ধমান এই আত্মহত্যার ঘটনার দায় বর্তেছেন দেশের সামাজিক ব্যবস্থার অসম্পূর্ণতার উপর!
আরও পড়ুন: Modi ji Thali: মার্কিনি রেস্তোরাঁয় 'মোদীজি থালি'! মেনুতে কী কী থাকছে জানলে আহ্লাদে আটখানা হবেন...
উত্তর কোরিয়া কি ঘুণাক্ষরেও বুঝতে পারেনি যে, সে দেশের মানুষ ক্রমশ এই আত্মঘাতী অভ্যেসের মধ্যে ঢুকে পড়ছে? হ্যাঁ, বুঝেছে বৈকি। সেদেশে সুইসাইড-প্রিভেনশন পলিসিও গ্রহণ করা হয়েছে। কিন্তু আধিকারিকরা এই খোঁজটা নিতে পারেননি যে, এই পলিসি ঠিকঠাক কাজ করছে না। তবে তারা এই তথ্য খুঁজে পেয়েছেন যে, দারিদ্র্য ও ক্ষুধার কারণেই এদেশে আত্মহত্যার এত বাড়বাড়ন্ত।