সিরিয়ায় মৃত ১৩০০, আলোচনায় বসছে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ
সিরিয়ায় সরকারি বাহিনীর রাসায়নিক অস্ত্রের হামলায় ১৩০০ মানুষের লোকের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করল বিদ্রোহীরা। মৃতদের মধ্যে বেশিরভাগই শিশু ও মহিলা। রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করেছে সিরিয়ার সেনাবাহিনী। তাদের পাল্টা দাবি, নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতেই ভুয়ো অভিযোগ তুলছে বিদ্রোহীরা। সিরিয়ার ওই ঘটনা নিয়ে তড়িঘড়ি আলোচনায় বসেছে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ।
সিরিয়ায় সরকারি বাহিনীর রাসায়নিক অস্ত্রের হামলায় ১৩০০ মানুষের লোকের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করল বিদ্রোহীরা। মৃতদের মধ্যে বেশিরভাগই শিশু ও মহিলা। রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করেছে সিরিয়ার সেনাবাহিনী। তাদের পাল্টা দাবি, নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতেই ভুয়ো অভিযোগ তুলছে বিদ্রোহীরা। সিরিয়ার ওই ঘটনা নিয়ে তড়িঘড়ি আলোচনায় বসেছে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ।
সিরিয়ার বিদ্রোহে বাসার আল আসাদ সরকারের বিরুদ্ধে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগ আগেই তুলেছিল বিদ্রোহীরা। এবারে সেই অভিযোগই সামনে এল এক মর্মান্তিক মৃত্যু মিছিলের ছবি নিয়ে। বিদ্রোহীদের দাবি অনুযায়ী, বুধবার দামাস্কাসের কাছে বিষাক্ত গ্যাস হামলায় মৃত্যু হয় শত শত মানুষের। বুধবার ভোরের দিকে দামাসকাসের শহরতলি ঘৌউটায় রকেট ছোঁড়ে সিরিয়ার সেনা বাহিনী। বিদ্রোহীদের মতে ওই রকেটগুলিতেই বিষাক্ত গ্যাস মজুত ছিল। যা ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই ছটফট করতে শুরু করেন মানুষজন। মৃত্যু হয় বেশ কয়েকজনের। নিহতদের মধ্যে অধিকাংশই শিশু ও মহিলা।
সিরিয়ায় মিডিয়ার ওপর বিধিনিষেধের থাকায় অসমর্থিত সূত্রে পাওয়া গ্যাস হামলার ভিডিও ফুটেজ অথবা মৃতের সংখ্যার সত্যতা যাচাই অবশ্য সম্ভব হয়নি।
বিদ্রোহীরা আসাদ সরকারকে কাঠগড়ায় তুলেছে। যদিও একে বানানো অভিযোগ বলে দাবি করেছেন সিরিয়ার তথ্য মন্ত্রী ওমরান আল জউব।
সিরিয়ার সরকার ও বিদ্রোহীদের এই চাপানউতোরের মাঝেই গোটা ঘটনার সঠিক তদন্তের দাবি তুলেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন সহ বিভিন্ন দেশ। সিরিয়ায় রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের তদন্ত যাওয়া বিশেষজ্ঞ দলটিকে অবিলম্বে অভিযোগ খতিয়ে দেখার আবেদন জানানো হয়েছে।
হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা করলেও ঘটনার সত্যতা যাচাই জরুরি বলে মন্তব্য করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। গৃহযুদ্ধে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগ খতিয়ে দেখতেই সিরিয়ায় পৌঁছেছে রাষ্ট্রসংঘের বিশেষজ্ঞ দল। সেই সফরের মাঝেই আসাদ সরকারের বিরুদ্ধে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগ উঠল। সঠিক প্রমাণিত হলে যা নিঃসন্দেহে গত কয়েক দশকের জঘন্যতম রাসায়নিক অস্ত্র হামলার নজির হয়ে থাকবে।