Taiwan Crisis: তাইওয়ানের আকাশে প্রবেশ চিনা যুদ্ধবিমানের! আমেরিকাকে বিশেষ বার্তা?
মঙ্গলবার রাতে তিনি নির্ধারিত সময়ের আগেই তাইপেতে এসে পৌঁছন। পেলোসির সফর ঘিরে ওয়াশিংটন ও বেজিংয়ের মধ্যে উত্তেজনার পারদ চড়ছে। এই সফরের মধ্যে তাইওয়ানের আকাশে প্রবেশ করে ২০ টি চিনা যুদ্ধবিমান, খবর সংবাদসংস্থা এএফপি সূত্রে। এদিকে পেলোসির সফর উস্কানিমূলক এবং তা এ অঞ্চলের জন্য অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করতে পারে, এমনটাই মত চিনের।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: চিনা হুঁশিয়ারি (China) উপেক্ষা করেই তাইওয়ানে (Taiwan) গেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের (US) কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অফ রিপ্রেজেনটেটিভসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি (Nancy Pelosi)। মঙ্গলবার রাতে তিনি নির্ধারিত সময়ের আগেই তাইপেতে এসে পৌঁছন। পেলোসির সফর ঘিরে ওয়াশিংটন ও বেজিংয়ের মধ্যে উত্তেজনার পারদ চড়ছে। এই সফরের মধ্যে তাইওয়ানের আকাশে প্রবেশ করে ২০ টি চিনা যুদ্ধবিমান, খবর সংবাদসংস্থা এএফপি সূত্রে।
এদিকে পেলোসির সফর উস্কানিমূলক এবং তা এ অঞ্চলের জন্য অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করতে পারে, এমনটাই মত চিনের। যদিও তাইওয়ানে পৌঁছনোর পর টুইট করে ন্যান্সি পেলোসি বলেন, ‘তাইওয়ানের মজবুত গণতন্ত্রের প্রতি সম্মান ও সমর্থন জানাতে আমেরিকা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তাই আমাদের প্রতিনিধিদলের এই সফর। মুক্ত এবং উদার ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল গঠনের লক্ষ্যে তাইওয়ানের প্রতি সমর্থন জানাতেই তাদের নেতৃত্বের সঙ্গে আমরা আলোচনা করব।’
এদিকে, পেলোসি-সহ আমেরিকার কংগ্রেসের প্রতিনিধিদলের সদস্যদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জাপানের বিমানঘাঁটি থেকে উড়ে তাইওয়ানের আকাশসীমায় পৌঁছয় আমেরিকার বিমানবাহিনীর ফাইটার জেটের একটি স্কোয়াড্রন। অন্যদিকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপে ক্ষুব্ধ হয়ে শি জিনপিংয়ের দেশ পেস্ট্রি, বেকড পণ্য এবং মিষ্টি উত্পাদনকারী বেশ কয়েকটি তাইওয়ানের কোম্পানির উপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা এবং আমদানি নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেছে। তাইওয়ানের কৃষি কাউন্সিল (সিওএ) নিশ্চিত করেছে এই খবরটি।
পেলোসির এই তাইওয়ান সফর ঘিরে পারদ ক্রমশ চড়েছে৷ আমেরিকার সংবাদ মাধ্যমের দাবি, চিন সাগরে ইতিমধ্যেই যুদ্ধের মহড়া শুরু করেছে তাইওয়ান নৌসেনা। সম্ভাব্য চিনা আগ্রাসন ঠেকাতে উপকূল বরাবর অবস্থান নিচ্ছে তারা। চিনা পিপলস লিবারেশন আর্মির তরফে জানান হয়েছে, সার্বভৌমত্ব এবং ভৌগোলিক অখণ্ডতা রক্ষার জন্য প্রয়োজনে সামরিক পদক্ষেপ করা হবে তাইওয়ানের বিরুদ্ধে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে রাষ্ট্রের মর্যাদা নিয়ে মতপার্থক্যের কারণে চিন এবং তাইওয়ানের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ছে। তাইওয়ানের ভূখণ্ডের উপর নিজেদের কর্তৃত্ব দাবি করে চিন। একই সঙ্গে প্রয়োজনে বলপ্রয়োগ করে মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে একে যুক্ত করার কথাও জানিয়েছে তারা। তাইওয়ানের সঙ্গে যেকোনও সামরিক সংঘর্ষে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জড়িয়ে পরার সম্ভাবনা রয়েছে। তাইপেইয়ের সঙ্গে ওয়াশিংটনের বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে। সেই কারনেই এই সম্ভাবনার কথা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছেনা বলেই মনে করা হচ্ছে।
এদিকে তাইওয়ানের আকাশে চিনা ফাইটার জেট অনুপ্রবেশের মাধ্যমে আদতে সামরিক অভিযান শুরুর বার্তা দিলেন চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং, এমনটাই মত সামরিক বিশেষজ্ঞদের। এরই মধ্যে পেলোসি দেখা করেন তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে। প্রসঙ্গত দীর্ঘ ২৫ বছর পর আমেরিকার কোনও শীর্ষ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব তাইওয়ানে এলেন। ন্যান্সি পেলোসি তার স্পিকার জীবনের শুরু থেকে চিনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির বিরোধিতা করে আসছিলেন। তবে এবারের তাইওয়ান সফর বিশেষ মাত্রা দিতে চলেছে আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মহলকে, এমনটাই মত।
আরও পড়ুন, Vladimir Putin: এবার নিষেধাজ্ঞা পুতিনের বান্ধবীর উপরও, বাজেয়াপ্ত প্রমোদতরণী...