ডায়নার মৃত্যুটি কী নিছক একটা দুর্ঘটনা?

প্রিন্সেস ডায়নার মৃত্যুটা কী শুধুই একটা দুর্ঘটনা? ১৬ বছর পরেও সেই রহস্যের ওপর থেকে ওঠেনি ধোঁয়াশার পর্দা। এতগুলো বছরে তদন্ত হারিয়ে ফেলেছিল গতিও। কিন্তু, গতকালই সামনে এল এক বিস্ফোরক তত্ত্ব। ব্রিটিশ সেনার কোনও এক অফিসারের অঙ্গুলিহেলনেই ঘটানো হয়েছিল দুর্ঘটনাটি। এরপরই ডায়না মৃত্যু নিয়ে নতুন তথ্য নাড়াচাড়া শুরু করছে স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড।

Updated By: Aug 18, 2013, 08:58 PM IST

প্রিন্সেস ডায়নার মৃত্যুটা কী শুধুই একটা দুর্ঘটনা? ১৬ বছর পরেও সেই রহস্যের ওপর থেকে ওঠেনি ধোঁয়াশার পর্দা। এতগুলো বছরে তদন্ত হারিয়ে ফেলেছিল গতিও। কিন্তু, গতকালই সামনে এল এক বিস্ফোরক তত্ত্ব। ব্রিটিশ সেনার কোনও এক অফিসারের অঙ্গুলিহেলনেই ঘটানো হয়েছিল দুর্ঘটনাটি। এরপরই ডায়না মৃত্যু নিয়ে নতুন তথ্য নাড়াচাড়া শুরু করছে স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড।
৩১ অগাস্ট ১৯৯৭। প্যারিসের  বিলাসবহুল রিটজ হোটেলে এভাবেই শেষ দেখা গিয়েছিল ইংল্যান্ডের যুবরাণীকে। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটে গিয়েছিল সেই ভয়াবহ দুর্ঘটনা। প্যারিসের এক সুরঙ্গে মিলেছিল যুবরাণীর তালগোল পাকানো গাড়ি। যে অবস্থায় উদ্ধার হয়েছিল বিশ্বের অন্যতম সেরা সুন্দরীর দেহ, তারপর তাঁকে সনাক্ত করাও ছিল অত্যন্ত কঠিন কাজ।
কী ঘটেছিল ৩১ অগাস্টের সেই রাতে? ১৬ বছর পরও সামনে আসেনি প্রকৃত তথ্য। কখনও বলা হয়েছে গাড়িতে হঠাতই দেখা দিয়েছিল যান্ত্রিক সমস্যা। কখনও বলা হয়েছে চালকের অন্যমনষ্কতাতেই ঘটে গিয়েছিল এই দুর্ঘটনা। কিন্তু, রহস্যের গহ্বর থেকে বেরিয়ে আসেনি প্রকৃত কারণ। ব্রিটিশ রাজ পরিবারের অন্দরমহলটা এক ঝটকায় যেন সর্বসমক্ষে এনে দিয়েছিল এই একটা দুর্ঘটনা। কেন রাজ পরিবারের বিলাসব্যসনেও অসুখী ছিলেন যুবরাণী। কেন বন্ধুত্বের খোঁজে আকুল হতেন ডায়না। কী ছিল তাঁর নিঃসঙ্গতার কারণ? এইসব প্রশ্নের উত্তরই হয়তো চাপা পড়ে রয়েছে প্যারিসের সেই সুরঙ্গে।
এতবছর পর সেই রহস্যের বারুদেই পড়ল একটা স্ফুলিঙ্গ। কোনও এক ব্রিটিশ সেনা অফিসারের নির্দেশেই সম্ভবত সাজানো হয়েছিল দুর্ঘটনার নিখুঁত চিত্রনাট্য। এই বিস্ফোরক তত্ত্ব সামনে আসার পরই মুখরক্ষা করতে ময়দানে নেমে পড়েছে স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড। লন্ডনের রয়্যাল কোর্টের অন্তর্তদন্তকে নতুন করে ঢাল করেছে বিশ্বের অন্যতম সেরার দাবিদার এই পুলিসবাহিনী। একই সঙ্গে অবশ্য সামনে আসা নতুন তত্ত্বও খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছে স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড। কিন্তু, সত্যিই কি কোনওদিন সামনে আসবে প্রকৃত তথ্য? এনিয়ে নীরবতাকেই শ্রেষ্ঠ পথ হিসেবে বেছে নিয়েছে স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড।

.