হিরোশিমা দিবসে পরমাণু অস্ত্রহীন বিশ্বের দাবি জাপান প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের

বিশ্ব হোক পরমাণু অস্ত্র মুক্ত। হিরোশিমা দিবসে, হিরোশিমা মেমোরিয়ালের প্রার্থনায় ফের একবার এই দাবি জানালেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো অ্যাবে। একইসঙ্গে বিস্ফোরণ পরবর্তী কিছু ফুটেজও সামনে আনল জাপান। ৭১ বছর আগে সেই ভিডিও রেকর্ডিং করেছিলেন সোভিয়েত সেনারা। ইতিহাস সকলের জানা। তবু বারবার ফিরে দেখা প্রয়োজন। বিশ্বযুদ্ধ তাড়াতাড়ি শেষ করায় জন্য, এই ছিল এক ছোট্ট মার্কিনি রসিকতা।

Updated By: Aug 6, 2016, 06:02 PM IST
হিরোশিমা দিবসে পরমাণু অস্ত্রহীন বিশ্বের দাবি জাপান প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের

ওয়েব ডেস্ক: বিশ্ব হোক পরমাণু অস্ত্র মুক্ত। হিরোশিমা দিবসে, হিরোশিমা মেমোরিয়ালের প্রার্থনায় ফের একবার এই দাবি জানালেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো অ্যাবে। একইসঙ্গে বিস্ফোরণ পরবর্তী কিছু ফুটেজও সামনে আনল জাপান। ৭১ বছর আগে সেই ভিডিও রেকর্ডিং করেছিলেন সোভিয়েত সেনারা। ইতিহাস সকলের জানা। তবু বারবার ফিরে দেখা প্রয়োজন। বিশ্বযুদ্ধ তাড়াতাড়ি শেষ করায় জন্য, এই ছিল এক ছোট্ট মার্কিনি রসিকতা।

ওয়েপন অফ মাস ডেস্ট্রাকশন। মার্কিন সুশীল সমাজের মুখে বারবার শোনা যায় এই আর্তনাদ। মজার কথা এখনও পর্যন্ত এই মারণাস্ত্রের ব্যবহার হয়েছে মাত্র দুবার। দুবারই ব্যবহার করেছে আমেরিকা। এই হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে।

নাম ছিল লিটল বয়। লোহার খোলসে ৬৪ কিলোগ্রাম তেজষ্ক্রিয় বিস্ফোরক। সকাল সওয়া ৮টায় প্রায় সাড়ে ৯ হাজার মিটার উচ্চতা থেকে ফেলা হয় বোমা। ৪৫ সেকেন্ড পর, মাটি থেকে ৫০০ মিটার ওপরে তা ফেটে যায়। তারপর বিভীষিকা। মুহূর্তের মধ্যে আগুনের ঝড়ে ঝলসে যায় হিরোশিমা। লক্ষাধিক মানুষ মারা যান ঘটনাস্থলেই। অর্ধদগ্ধরদের মৃত্যু হয় হাসপাতালে। ভূমিকম্পরোধক শক্তপোক্ত অট্টালিকাগুলির শুধু লোহার কাঠামোই দাঁড়িয়ে থাকে। বাকি সব ধ্বংসস্তূপ। তিনদিন পরে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি নাগাসাকিতে। এবার বোমার নাম ফ্যাটম্যান।

গণতান্ত্রিক আমেরিকার উন্মত্ততায় মারা যান দেড়লক্ষেরও বেশি মানুষ। লক্ষ লক্ষ আহত ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। প্রায় একযুগ ধরে চলে মৃত্যুর মিছিল। প্রজন্মের পর প্রজন্ম জন্মায় পঙ্গুত্ব নিয়ে। সেই ধ্বংসস্তূপ থেকে ফের উঠে দাঁড়িয়েছে সভ্যতা। বিস্ফোরণস্থলে এখন মেমোরিয়াল। কেবল একই রয়ে গেছে বোমায় বিধ্বস্ত বাড়িগুলি। সেগুলি এখন মার্কিন গণহত্যার স্মারক। অত্যাধুনিক হিরোশিমায় ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ।

এই ইতিহাস মোছার নয়। এই ইতিহাস ভোলা যাবে না। প্রত্যেক প্রজন্মকে বোঝাতে হবে, কী হতে পারে যুদ্ধের পরিণতি? মনে করিয়ে দিতে হবে, যুদ্ধ জিততে ৭১ বছর আগে কী করেছিল মানবিক আমেরিকা? শনিবার হিরোশিমা দিবসে মৃতদের স্মরণ করলেন জাপানবাসী। ফের একবার পরমাণু অস্ত্রহীন বিশ্বের দাবি জানালেন জাপানি প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে।

.