আমেরিকায় বাংলা সিনেমার আন্তর্জাতিক পুরস্কার মঞ্চ
শহরটার নাম নিউ ইয়র্ক। পৃথিবীর বৃহত্তম শহর। সেখানেই তৈরী হল বাঙালির বৃহত্ ইতিহাস। আর সেজন্যই নিউ ইয়র্ক এখন মিনি কলকাতা। তারায় তারায় ছয়লাপ।
ওয়েব ডেস্ক: শহরটার নাম নিউ ইয়র্ক। পৃথিবীর বৃহত্তম শহর। সেখানেই তৈরী হল বাঙালির বৃহত্ ইতিহাস। আর সেজন্যই নিউ ইয়র্ক এখন মিনি কলকাতা। তারায় তারায় ছয়লাপ।
এমনিতে ব্যাপারটা ফি বছরের মতোই আরেকটা 'বঙ্গ সম্মেলন'। আমেরিকাবাসী বাঙালির ঐতিহ্য ও সাবেকিয়ানা উদযাপনের মেগা ইভেন্ট। কিন্তু, এবারের বঙ্গ সম্মেলন সম্পর্কে এইটুকু বললে অন্যায় হবে। কারণ, এবার সেখানে তৈরী হল এক ইতিহাস আর তার সাক্ষী হতে সেখানে জড়ো হয়েছেন অনাবাসী বাঙালিদের সঙ্গে এক ঝাঁক টলি সেলেবও।
এবারের বঙ্গ সম্মেলন অন্য সব বারের থেকে আলাদা বেশ কয়েকটি কারণের জন্য। প্রথমতঃ অনুষ্ঠানস্থল। এইবার, আয়োজক সংস্থা নর্থ আমেরিকান বেঙ্গলি কনফারেন্স (এনএবিসি) ভেন্যু হিসাবে বেছে নিয়েছে 'ম্যাডিসন স্কোয়ার'কে। সেই ম্যাডিসন স্কোয়ার যেখানে আলোড়ন সৃষ্টিকারী বক্তৃতা করেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। আমেরিকার বিখ্যাত এই জায়গার স্থানমাহাত্যেই এবারের বঙ্গ সম্মেলনের গ্ল্যামার কোশেন্ট বেড়ে গেছে অনেকটাই।
প্রথম কারণটা যদি ম্যাডিসন স্কোয়ার হয়, তাহলে দ্বিতীয় কারণটা অবশ্যই তৈরা হওয়া 'ইতিহাস'। হ্যাঁ, এবারের বঙ্গ সম্মেলনেই শুরু হল-'ইন্টারন্যাশনাল বেঙ্গলি ফিল্ম অ্যাওয়ার্ড' (IBFA), বাংলা ছবির আন্তর্জাতিক পুরস্কার মঞ্চ। অনেকটা 'আইফা' মঞ্চের মতো যেখানে তামাম বলিউড গ্ল্যামারের রোশনাই জ্বলে দেয় গ্লোবাল আকাশে। এনএবিসি-র তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে এবার থেকে প্রতি বছরই আইবিএফ বঙ্গ সম্মেলনের অঙ্গ হিসাবেই থাকবে।
গত শুক্র, শনি ও আজ, রবি এই তিন দিন ধরে চলছে সম্মেলন। বিদেশী বাঙালিদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন এক ঝাঁক দেশি তারা। তাঁদের মধ্যে অন্যতম- প্রসেনজিৎ, যিশু, পরমব্রত, শ্রাবন্তী, মিমি, আবির, রাজ চক্রবর্তীরা।
চার বাঙালির শৃঙ্গ জয়
দেদার খানা-পিনা, নিখাদ বাঙালিয়ানা, গান আর আড্ডায় তাই মশগুল মার্কিন মুলুক।