কসাভের ফাঁসির একদিন আগেই প্রাণদণ্ডের পক্ষে ভোট ভারতের
বুধবার সকাল সাড়ে সাতটার সময় আজমল কসাভকে মত্যুদণ্ড দিয়েছে ভারত। কাসভকে ফাঁসি দেওয়ার ঠিক একদিন আগেই রাষ্ট্রসঙ্ঘে প্রাণদণ্ড নিষদ্ধ করার সংকল্পের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছিল ভারত। তবে ভারত বিরুদ্ধে ভোট দিলেও এবছর রেকর্ড সংখ্যক দেশ প্রাণদণ্ডের নিষিদ্ধ করার পক্ষে ভোট দিয়েছে।
বুধবার সকাল সাড়ে সাতটার সময় আজমল কসাভকে মত্যুদণ্ড দিয়েছে ভারত। কাসভকে ফাঁসি দেওয়ার ঠিক একদিন আগেই রাষ্ট্রসঙ্ঘে প্রাণদণ্ড নিষদ্ধ করার সংকল্পের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছিল ভারত। তবে ভারত বিরুদ্ধে ভোট দিলেও এবছর রেকর্ড সংখ্যক দেশ প্রাণদণ্ডের নিষিদ্ধ করার পক্ষে ভোট দিয়েছে। মোট ১১০ টি দেশ প্রাণদণ্ড নিষিদ্ধ করার সংকল্পের পক্ষে ভোট দিয়েছে। প্রত্যেক দু`বছর অন্তর ইউএন জেনারেল অ্যাসেম্বলি কমিটি মৃত্যুদণ্ড নিষিদ্ধ করার সংকল্প নিয়ে ভোট প্রার্থনা করে। ২০১০ সালে ১০৭টি দেশ পক্ষে ভোট দিয়েছিল।
তবে ভারত সহ মোট ৩৯টি দেশ প্রাণদণ্ড নিষিদ্ধ করার বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে। এদের মধ্য রয়েছে জাপান, চিন, ইরান, উত্তর কোরিয়া, সিরিয়া ও জিম্বাবোয়ে। ভোটদানে বিরত থেকেছে ৩৬টি দেশ। শক্তিশালী মার্কিন আঁতাতের বিরুদ্ধে গিয়ে ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের দেশগুলির সঙ্গে প্রাণদণ্ড নিষিদ্ধ করার পক্ষে ভোট দিয়েছে ইজরায়েল। অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, দক্ষিণ আফ্রিকা প্রাণদণ্ড নিষিদ্ধ করার পক্ষে ভোট দিয়েছে।
রাষ্ট্রসঙ্ঘের প্রাণদণ্ড নিষিদ্ধ করার সংকল্পের প্রচারের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়ে আসছে নরওয়ে। মঙ্গলবারের তাঁদের এই প্রচারের পক্ষে বিপুল ভোট পড়ায় নরওয়ের তরফে টুইট করা হয়, `গ্রেট রেজাল্ট`।
ফ্রান্সের নতুন সরকার আসার পর জেনারেল অ্যাসেম্বলিতে প্রাণদণ্ড নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব পাস করানোর জন্য প্রচার শুরু হয়েছে।