প্রিয় বাগানবাড়িতেই সমাধিস্থ হুমায়ুন আহমেদ

নিজের প্রিয় বাগানবাড়িতেই সমাধিস্থ করা হল প্রয়াত সাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদকে। মঙ্গলবার দুপুরে গাজিপুরের সুহাশপল্লীতে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। তাঁর পরিবারের সদস্যদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন লেখকের অসংখ্য ভক্ত এবং অনুরাগী।

Updated By: Jul 24, 2012, 07:10 PM IST

নিজের প্রিয় বাগানবাড়িতেই সমাধিস্থ করা হল প্রয়াত সাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদকে। মঙ্গলবার দুপুরে গাজিপুরের নুহাশপল্লীতে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। তাঁর পরিবারের সদস্যদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন লেখকের অসংখ্য ভক্ত এবং অনুরাগী। মঙ্গলবার সকালে ঢাকা থেকে তাঁর দেহ নিয়ে রওনা দিয়েছিলেন দ্বিতীয় স্ত্রী শাওন এবং দুই সন্তান। দুপুর আড়াইটে নাগাদ জাতীয় ইদগা থেকে হুমায়ুন আহমেদের মরদেহ নিয়ে শোকযাত্রা শুরু হয়।  শোকযাত্রা শেষে সুহাশ পল্লিতে সমাধিস্থ করা হয় তাঁর দেহ। হুমায়ুনের প্রথম স্ত্রীর তিন সন্তান এবং ভাইবোনেরাও এসে পৌঁছন নুহাশপল্লিতে। পরিবারের সদস্য, অগণিত ভক্ত অনুরাগীদের উপস্থিতিতে দুপুরে সমাধিস্থ করা হয় লেখককে। তাঁর শেষ ইচ্ছা মেনে নুহাশপল্লির বাগানবাড়িতেই।
হুমায়ুন আহমেদকে কোথায় সমাধিস্থ করা হবে তাই নিয়ে তাঁর পরিবারের তরফে জটিলতা চলেছে রাতভর। শেষ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপে মেটে পারিবারিক দ্বন্দ্ব। হুমায়ুন আহমেদের তাঁর কলমের জাদুতে মসগুল অসংখ্য পাঠক অনুরাগী। বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় কথা সাহিত্যিক তিনি। কিন্তু প্রিয় লেখকের সমাধিস্থলের নির্বাচন ঘিরে যে এমন নাটকের অবতারণা হবে, তা বোধহয় তাঁর অনুরাগীরা কেউই ভাবেননি। লেখক চেয়েছিলেন, নুহাশপল্লির প্রিয় বাগানবাড়িতেই যেন তাঁকে সমাহিত করা হয়। কিন্তু পরিবারের একাংশের ভিন্নমত। ফলে নুহাশপল্লি না ঢাকার মিরপুর, এই টানাপোড়েনেই কেটে যায় সোমবার। সোমবার রাত পর্যন্ত দফায় দফায় বৈঠক হয়। শেষ পর্যন্ত স্থির হয় নুহাশপল্লিতেই চিরশয্যায় শায়িত করা হবে `হিমু`-র স্রষ্টাকে।
রবিবার বাংলাদেশের সময় সকাল ৯ টা নাগাদ নিউইয়র্ক থেকে এমিরেটস এয়াওয়েজের বিমানে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয় তাঁর দেহ। প্রয়াত লেখককে চির বিদায় জানাতে, জেএফকে বিমানবন্দরে হাজির ছিলেন বহু মানুষ। এছাড়াও ছিলেন রাষ্ট্রসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের বিশেষ দূত আবদুল মোমেন সহ দূতাবাসের একাধিক আধিকারিক। দুবাই হয়ে সোমবার স্থানীয় সময় সকাল ৮টা ৪০ মিনিটে ঢাকার শাহ জালাল বিমানবন্দরে পৌঁছোয় হুমায়ুন আহমেদের মরদেহ। সকাল ১১ টা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত লেখকের মরদেহ শায়িত থাকে শহিদ মিনার চত্বরে। সেখানেই প্রিয় লেখককে শ্রদ্ধা জানান তাঁর ভক্তরা। প্রায় ৯ মাস ধরে ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই চালানোর পর, বৃহস্পতিবার রাতে নিউইয়র্কের হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন হুমায়ুন আহমেদ। তাঁর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও প্রেসিডেন্ট।

.